নুসাইবার মন খারাপ। মন খারাপের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল তার অভিমান হচ্ছে আশে পাশের মানুষদের উপর। নুসাইবার মা দুইদিন পর হাসপাতাল থেকে ফিরেছে। সবাই বলাবলি করছে তার মায়ের পেটে পাথর হয়েছিল। এমন অদ্ভুত কথা সে তো আগে শুনেনি! ছোট্ট নুসাইবার মনে প্রশ্ন জেগেছিল কেন হয় মানুষের পেটে পাথর। কেউ বুঝিয়ে বলছে না তাকে, শুধু এড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ জানতে চাওয়া কি দোষের কিছু! নুসাইবার সত্যি অনেক মন খারাপ। অন্যদিকে মতিন সাহেব পেটে পাথর জমেছে জেনেও অপারেশন না করে দিব্যি দিন পার করে দিচ্ছিলেন। ক্রান্তি-লগ্নে এসে সেই পাথর রূপ নিলো ক্যান্সারে। পিত্ত-থলিতে পাথর অনেক পরিচিত সমস্যা হলেও নুসাইবার মত আমরা অনেকেই জানিনা কেন এবং কিভাবে হয় এই পাথর অথবা জানলেও মতিন সাহেবের মতো গুরুত্ব দেইনা। যারা এখনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না আসেন কিছু তথ্য জেনে নেই।
কিছুদিন আগে সুমনাদের বাসায় বেড়াতে আসা এক আত্মীয় একবার ভূতের খপ্পরে পড়েছিল। উনি ছিলেন মশারির ভেতর, বেঘোরে ঘুমচ্ছিলেন। সুমনা জানে ভূতের আবাস ঘরের বাইরে, বটগাছ, তেঁতুলগাছ, অথবা অন্ধকার ঘন বন-জঙ্গলে। এইটা তাহলে কেমন ভুত যা ঘরে এসে আক্রমণ করে! তাও আবার যেন-তেন ভূত না, তার আত্মীয় হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখেছে মশারির বাইরে ইয়া লম্বা, ধবধবে সাদা কাপড় পরা বেঢপ আকৃতির ভুত হাটা-চলা করছে। খুব ভয় পেয়েছিল সেদিন ছোট্ট সুমনা ভুতের বর্ণনা শুনে, ওইদিনের পর থেকে ভূতের ভয়ে সুমনার একা ঘুমানো রীতিমত অসম্ভব পর্যায়ে চলে গেছে। ভদ্রলোকের তখন দোয়া-দুরুদ, আয়তুল কুরসি পড়ে ভুত ছাড়াতে হয়। উনি যত বেশি বেশি দোয়া পড়েন, পাজি ভুত উনার বুকের উপর তত জোরে চেপে বসে এবং একসময় ছেড়েও দেয়। কি সাঙ্ঘাতিক এই ভুত তাইনা? আসুন জেনে নেই এই ভুতের আদ্যোপান্ত। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এই ভুতকে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন বোবা ভুত নামে, অথবা বলে থাকেন "অমুক কে বোবায় ধরেছে।" বিজ্ঞানের ভাষায় এই বোবা ভুত কে বলে 'স্লিপ প্যারালাইসি...
খাদ্যাভাস খুব গুরুত্বপূর্ন ব্যপার। এটা শুধু আপনার শরীর নয়, মনের উপরেও প্রভাব ফেলে। 'খাদ্যাভাস' নিয়ে এই সিরিজে তেমনি জরুরী কিছু ব্যপার আমরা জানবো। এই পর্বে খাদ্যাভাস কিভাবে আপনার মন খারাপ করে দেয় বা বিষন্ন করে তোলে সে সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো। খাবারে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ ধারণা করা হয় এই সময়ের একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে প্রায় ১৬ চামচ চিনি গ্রহণ করে থাকে। বিভিন্ন খাবারের ভেতরে থাকা সুগার বা সরাসরি গ্রহণ করা সুগার এর ভেতরে অন্তর্ভুক্ত। ভুল খাদ্যাভাসের ভেতরে এটি খারাপতম। এটা আপনার শরীরের সেরেটোনিন (serotonin) লেভেলে প্রভাব ফেলে। সেরেটোনিন হচ্ছে এক প্রকার হরমোন যা আপনার শরীরের বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ন্ত্রন করে। এই যেমন- ঘুমের সময় নিয়ন্ত্রন (Sleep cycles), ব্যথা নিয়ন্ত্রন করা, শর্করার অভাব নিয়ন্ত্রন করা এবং খাবার হজম করা (Digestion)। এই হরমোনের অভাবে মানুষ বিষন্ন (depressed) হয়ে পড়ে, রক্তচাপ বেড়ে যায়। এটা থাইরয়েড হরমোন (thyroid hormone) উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। এটি সন...
রেসিস্টেন্স কি? রেসিস্টেন্স হল কোন একটা জীবানুর তার সংক্রমণ রোধে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেটার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা। কোন জীবানুর সংক্রমণ রোধে একই ধরণের এন্টিবায়োটিক বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করে গেলে জীবানুরা আস্তে আস্তে সেই এন্টিবায়োটিকের কাজ করার ধাত বুঝে সেটার বিপরীতে এক ধরণের ব্যবস্থা নেয়। হতে পারে সেটা তাদের শরীরের গঠনের পরিবর্তন কিংবা মেটাবলিজম/বিপাকের পরিবর্তন। এতে করে সেই ওষুধ আর কাজ করে না। ফলে সেই জীবানুর সংক্রমণ প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। কেন এটা বিপদজনক? মনে করুন আপনি ভাবছেন জীবানুরা রেসিস্টেন্স ডেভেলপ করলে আপনার সমস্যা কোথায়? একজন দিনের পর দিন এন্টিবায়োটিক খেতে খেতে নাহয় জীবানুদের বেশ কিছু এন্টিবায়োটিকের প্রতি রেসিস্টেন্স ডেভেলপ করিয়ে দিল নাহয়, ক্ষতি কি? এবার ধরে নিন, আপনার এলাকার দোকান হতে আপনার প্রতিবেশী এন্টিবায়োটিক খেয়ে এই কাজ করলেন। উনার মাধ্যমে পরিবেশে চার-পাঁচটা ভালো ভালো এন্টিবায়োটিকের প্রতি রেসিস্টেন্স ডেভেলপ করা জীবানু ছড়িয়ে গেল। আপনার শিশু সেই পরিবেশেই হেঁ...