জানা-অজানা : সাইকোপ্যাথ ও সোশিওপ্যাথ

সাইকোপ্যাথ এবং সোশিওপ্যাথ, শব্দদুটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। ব্যক্তিজীবনে বা সামাজিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনায়, আড্ডায় আমরা অনেকেই কমবেশি এই শব্দগুলো ব্যবহার করে থাকি। যদিও মেডিকেল সাইন্সে কারো মধ্যে সাইকোপ্যাথের কোন ট্রেইট দেখা গেলে, এটাকে অফিশিয়ালি Antisocial Personality Disorder (ASPD) নামে ডাকা হয়। মুভি, সিনেমা বা থ্রিলার বইগুলাতে সাইকোপ্যাথদের চিত্রায়ণে তাদের সিরিয়াল কিলার বা ভায়োলেন্ট চরিত্রে দেখানো হয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? চলুন, তার জন্য জেনে নেই মনোবিজ্ঞান কী বলে তাদের নিয়ে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই মনে করেন, সাইকোপ্যাথ আর সোশিওপ্যাথের মধ্যে পার্থক্য নেই। কিন্তু অপর একদল ভিন্ন মতামত পোষণ করেন। মাইকেল ট্মপকিন্স নামের একজন সাইকোলজিস্ট এবং রাইটার এর মতে, একজন সাইকোপ্যাথির মধ্যে বিবেকের তাড়না কাজ করে না। সে আপনার ক্ষতি করার জন্য আপনাকে মিথ্যা বলতে পারে কিন্তু তার জন্য তার ভিতরে কোন অনুশোচনা কাজ করে না। সোশিওপ্যাথির মধ্যে আবার বিবেকবোধ কাজ করে কিন্তু তা এতটাই দুর্বল যে তা তাকে ভুল কাজ কর...



অবদমন কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে?

মানুষের জীবনে চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ্ব চিরকালের। যেমন কবির ভাষায়, "যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না।“ চাওয়া, কামনা, ইচ্ছে বা স্বপ্ন- যে নামেই জন্মাক না কেন, তা পাবার  আকাঙ্ক্ষা রয়েছে গোটা জীবন জুড়েই। আর এ প্রয়োজন পূরণের তাগিদেই মানুষের অবিরাম ছুটে চলা।  কিন্তু মনে জন্মানো সব চাওয়াই কি পূরণ হয়? কিংবা সব স্মৃতিই কি সুখস্মৃতি হয়? যদি না হয় তবে তারা কোথায় যায়? কি হয় সেসব ইচ্ছেগুলোর? না পাওয়াকে কিভাবে মেনে নেই আমরা? বা আদৌ কি মেনে নিতে পারি সব ক্ষেত্রে? আমাদের জীবনের না পাওয়া গুলো কি কোনো ভাবে প্রভাবিত করে আমাদের জীবনযাত্রাকে?  তারই খানিকটা জানবো আজ। মানুষ বিভিন্ন সময়ই তার চাহিদা অনুযায়ী সঙ্গলাভের চাহিদা, ভালোবাসা পাবার চাহিদা, স্বীকৃতির চাহিদা পূরণে, বা কোনো নির্দিষ্ট পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। ফলে মানুষের মনোজগতে বিভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্ব ও হতাশার সৃষ্টি হয়। সাধারণত এ দ্বন্দ্ব ও হতাশা থেকে ব্যক্তি নিজেকে রক্ষা করে তার মানসিক ক্ষমতা ও কিছু অ...