ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বিটকয়েনের ইতিহাস
প্রথম দুই পর্বে ব্লকচেইন নিয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। এবারের পর্বে থাকছে এই প্রতিভাধর উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত ডিজিটাল কারেন্সির ইতিহাস নিয়ে। ডিজিটাল কারেন্সি মূলত ইন্টারনেট নির্ভর কারেন্সি যা ফিয়াট মানি (যেমন ব্যাংক নোট, কয়েন) থেকে ভিন্ন এবং যার বাস্তব দৃশ্যমানতা নেই। এটা শুধু দুই পক্ষের মধ্যে অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয়। তা সত্ত্বেও ডিজিটাল কারেন্সি ফিয়াট কারেন্সির মত একই সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ করে। এই ডিজিটাল কারেন্সিকে ডিজিটাল মানি, ইলেক্ট্রনিক মানি বা ইলেক্ট্রনিক কারেন্সি ও বলা হয় যার অন্যতম বড় সুবিধা হলো ততক্ষনাৎ লেনদেন এবং দ্রুত সময়ে মালিকানার সীমানাবিহীন হস্তান্তর। ভার্চুয়াল কারেন্সি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি কে ডিজিটাল কারেন্সির প্রধান দুই উপসেট হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে বিবেচ্য এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আজকের এই পর্ব।
প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের এখন পর্যন্ত বড় যে অভিযোগটি বিদ্যমান তা হলো অবিশ্বাস। অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে, ইন্টারনেট প্রযুক্তি ক্ষমতাকে বিক্রেন্দ্রীভুত না করে বরং তা একটি নির্দিষ্ট শ্রেনীর মানুষের কাছে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনের শক্ত হাতিয়ার হয়ে দাড়িয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকের ফাউন্ডার মার্ক জাকারবার্গ তার একটি লিখায় এই ক্ষমতা কেন্দ্রীকরনের বিপরীতমুখী ধারার কথা বলেন যেখানে এনক্রিপশন (তথ্য কে দুর্বোধ্য সংকেতে রুপান্তর করে পাঠানো যাতে একমাত্র যাকে পাঠানো হয় যেই ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ পাঠোদ্ধার করতে না পারে) এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার কেন্দ্রীভুত নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা থেকে ক্ষমতা কে পুনরায় জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এই ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরনের রিটার্ন হাতিয়ারই ব্লকচেইন প্রযুক্তি যার ইঞ্জিন হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি ।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার
অনলাইনে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সৃষ্ট ডিসেন্ট্রালাইজড ডিজিটাল সম্পদ ক্রিপ্টোকারেন্সির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার। ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার একইসাথে লেনদেনর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত কারেন্সি সৃষ্টির ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। কিভাবে ক্রিপ্টোগ্রাফি এই কাজটি করছে তা বুঝতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে ক্রিপ্টোগ্রাফি কী?
মনে করুন, মিস্টার অর্ক এবং মিস্টার মিঠু পরস্পর বন্ধু। মিস্টার অর্ক মিঠু'র সাথে গোপনীয় কিছু তথ্য শেয়ার করতে চান যা মিস্টার মিতুল জানতে চাচ্ছেন কিন্তু তিনি তা জানতে পারলে দুই বন্ধুর জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। মিস্টার অর্ক আবার তার বন্ধু মিঠু থেকে অনেক দূরে থাকেন। তাকে গোপনীয় তথ্যটা যে মাধ্যমে জানাবেন সেটার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিখুঁত না। মিস্টার মিতুল চাইলে গোপনে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবেন । এক্ষেত্রে মি অর্ক তার তথ্যগুলোকে কাগজে লিখে একটি গোপন মন্ত্র পড়ে ফু দিতেই সেটি অপাঠযোগ্য হয়ে গেল। এটাকে আপনি এনক্রিপশন (encryption) এর সাথে তুলনা করতে পারেন। কাগজটা এখন এনক্রিপ্টেড (encrypted) হয়ে গেল। এটাকে পাঠযোগ্য করার জন্য আরেকটি মন্ত্র আছে যা একমাত্র তার বন্ধু মিস্টার মিঠু জানে। ঐ মন্ত্র ছাড়া আর কারো পক্ষে কাগজের লেখা পড়া সম্ভব না। অতঃপর মিস্টার অর্ক ঐ কাগজটা একটা বক্সে ভরে তালা মেরে মিস্টার মিঠু কে পাঠিয়ে দিলেন। এই তালাটাকে আপনি পাসওয়ার্ড ভাবতে পারেন যা ভেঙে ফেলা সম্ভব। কিন্তু এই তালা ভেঙে কাগজটা বের করে আনতে পারলেও সেটা অপাঠযোগ্যই থেকে যাচ্ছে। মিস্টার মিঠু যখন বক্সের তালা খুলে নিজের মন্ত্র পড়ে ফু দিবেন তখন কাগজের লেখাটি আবার পাঠযোগ্য হয়ে গেল। এটাকে আপনি বলতে পারেন ডিক্রিপশন (decryption)। এখানে মাঝ পথে যদি মিস্টার মিতুল বাক্সটাকে কোন ভাবে হাতিয়েও নেন, তিনি ভিতরের লিখা পড়তে পারতেন না। কারন তিনি একটি এনক্রিপ্টেড কাগজ পাবেন মাত্র যেটা অপাঠযোগ্য। এভাবে এনক্রিপশনের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেয়া হলো। আর এই পুরো ব্যপারটাকে আপনি ক্রিপ্টোগ্রাফী বলতে পারেন (মূলত, ক্রিপ্টোগ্রাফী ব্যাপারটা এত অল্প কথায় বোঝানো সম্ভব না। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমরা বিশদভাবে লিখবো)।
যখন থেকে আমরা তথ্য কে নিরাপদ করতে সাইফার (cypher) ব্যবহার শুরু করি তখন থেকেই ত্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার শুরু। সাইফার প্রেরিত তথ্যগুলোকে এমন ভাবে সংকেতে রুপান্তর করে যে তা আন-অথোরাইজড কোন ব্যক্তির কাছে দুর্বোধ্য কোন সংকেত ছাড়া আর কিছুই নয় যেটার ভাষা তার অজানা। তথ্যর গোপনীয়তার ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহারের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। এবং এখন তা প্রযুক্তির বিশ্বের ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ন ব্যপার। ভার্চুয়াল কারেন্সির নিরাপত্তার জন্য এই ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করার কারণেই এর নাম ক্রিপ্টোকারেন্সি। ভার্চুয়াল কারেন্সি হিসেবে সর্বপ্রথম ব্যবহৃত ক্রিপ্টোকারন্সি হলো বিটকয়েন যেটার প্রচলন শুরু হয় ২০০৯ সালে।
আপনি যদি ইন্টারনেটকে একটি দেশ হিসেবে বিবেচনা করেন সেই দেশের কারেন্সি হবে বিটকয়েন। বিটকয়েনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জেনে নেয়া যাক।
১৯৯৮-২০০৯ (বিটকয়েনের পূর্ব যুগ)
যদিও ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বিটকয়েন এর প্রচলন শুরু হয়, তারও বহু পূর্বে ১৯৯৮ সালে ওয়ে ডাই (Wei dai) ডিস্ট্রিবিউটেড ক্যাশ সিস্টেম হিসেবে বি-মানি প্রচলন করেছিলেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় কিছুকাল পর নিক সাজাবো (Nick Szabo) নামের একজন কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট ও ক্রিপ্টোগ্রাফার বিট গোল্ড এর প্রচলন করেছিলেন যা ছিল ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ সিস্টেম। এবং এই লিস্টে পরে হাল ফেনি (Hal Finney) নামের আরেকজন কম্পিউটার বিজ্ঞানীও যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সাতাশি নাকামোতো (ছদ্মনাম) নামে একজন ডেভেলপার বিটকয়েন কে প্রথম ডিসেন্ট্রালাইজড ত্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে সর্বসাধারনের জন্য প্রচলন করেন।
২০১০ (বিটকয়েনকে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে সর্বপ্রথম গ্রহন)
বিনিময়ের ডিজিটাল মাধ্যম হিসেবে প্রচলনের পর বিটকয়েন ২০১০ সালের পূর্ব পযর্ন্ত মানিটারি ভ্যালু নির্ধারন করতে না পারায় বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়নি। কারন এটা পুর্বে কখনো আদানপ্রদান করা হয়নি শুধুমাত্র মাইনিং করে তৈরি করা হয়েছে। ২০১০ সালে Laszlo Hanyecz নামে একজন ডেভেলপার ১০ হাজার বিটকয়েন দিয়ে আরেকজন বিটকয়েনে আগ্রহী ব্যক্তির থেকে ২টি পাপা জোনস পিজ্জা কিনেন যেটাকে এখন পর্যন্ত রিয়েল ওয়ার্ল্ডে প্রথম বিটকয়েন ট্রান্সজেকশন হিসেবে ধরা করা হয়। যার বর্তমান মূল্য ১০০ মিলিয়ন ইউএস ডলারেরও অধিক এবং টাকায় তা প্রায় আটশত বিশ কোটি টাকার সমপরিমান (এই মূল্যমান ছয় মাস আগের বিট কয়েনের মূল্য হিসেবে ধরা হয়েছে বর্তমানে যা এর দ্বিগুনের চাইতেও বেশী হবে)।
২০১১ (বিকল্প ক্রিপ্টোকারেন্সি)
ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বিটকয়েন এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার বাড়তে থাকলে ২০১১ এর দিকে প্রথম বিকল্প ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বাজারে নেইমকয়েন এবং লাইট কয়েন আসে যেগুলার অধিকাংশই ছিল বিটকয়েনের উন্নয়নের পাশাপাশি আরো কিছু সুবিধা যোগ করা। ক্রমান্বয়ে একটির পর একটি করে ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ভাবন চলতে থাকে। বিটকয়েন এর পর সর্বাধিক ব্যবহৃত বাকি কিছু কারেন্সির মধ্যে রিপল, ইথিরিয়াম, বিটকয়েন ক্যাশ, কারডানো, লাইটকয়েন এই নাম উল্লেখযোগ্য।
২০১৩ (বিটকয়েনের মূল্য ধ্বস)
বিটকয়েনের চাহিদা ও ব্যবহার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। কিন্তু ২০১৩ সালে এপ্রিলে বিটকয়েন এর দাম মারাত্নক ভাবে হ্রাস করে ২৩৩ ডলার থেকে ৬৬ ডলারে গিয়ে নামে যেখানে ২০১৩ সালের পূর্ব পযর্ন্ত কারেন্সির ভ্যালু ৩০ ডলার এর উপর অতিক্রম করতে পারেনি। অতিমাত্রায় মিডিয়া কাভারেজ এই ভ্যালুকে ২০০ ডলারের উপরে নিয়ে যায় যা পরে অতিমাত্রায় কমে যায়। পুনরায় নভেম্বর এ দাম বেড়ে ১১৫০ ডলার এ পৌছে যায় যা আবার ডিসেম্বর এর মধ্যে দিকে ৫০০ ডলার এর নিচে নেমে যায়। এক বছরেরও বেশি সময় লাগে এই ক্ষতিকে কাটিয়ে দাম ১০০০ ডলার এ পৌছাতে।
২০১৪ এর বিপর্যয়
বিটকয়েন কেলেংকারীর পুর্ব পর্যন্ত মাউন্ট গোক্স ছিলে সর্ববৃহত বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ কোম্পানী। এই বৃহৎ কোম্পানী মাউন্ট গোক্স ২০১৪ এর ফেব্রুয়ারিতে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষনা করে এই মর্মে যে তাদের ৭৫০,০০০ বিটকয়েন চুরি গিয়েছে যার তখনকার মূল্য ছিল ৪৭৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার (প্রায় তিন হাজার আটশ আটাত্তর কোটি টাকারও বেশী) এবং বর্তমান মূল্য (ফেব্রুয়ারী ২০১৮) দাঁড়ায় প্রায় ১১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। তা ছিল এই পর্যন্ত তৈরি মোট বিটকয়েনের ৭ শতাংশ। এই ঘটনা বিটকয়েনের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ জন্ম দিয়েছিল এবং এই সংকট বিটকয়েনের মূল্য নামিয়ে আনে। আসলে কী ঘটেছিল সেই সত্যতা প্রমানের জন্য তদন্ত এখনো চলছে।
২০১৫ থেকে বর্তমান
বিটকয়েন এর পর ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে ইথোরিয়ামের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। স্মার্ট কন্ট্রাক্ট (ডিজিটাল চুক্তি যেখানে থার্ড পার্টি ছাড়া সরাসরি কারেন্সি লেনদেন করা যায়) নির্ভর এই ডিজিটাল কারেন্সি ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার আরো সহজ করে তুলে এবং একই সাথে যা কিনা বিটকয়েন থেকে দ্রুততার সাথে লেনদেনকে রেকর্ড করে। প্রথমবারের মত ইথোরিয়াম এর মধ্যে দিয়ে ইনিশিয়াল কয়েন অফারিং এর প্রচলন শুরু হয় যেটা মুলত মূলধন যোগান প্লাটফর্ম যেখানে শেয়ার কেনাবেচার মত ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বেচার সুযোগ বিনিয়োগকারীরা পেয়ে থাকে। এমনকি এটা মাইক্রোসফট, জেপি মর্গান সহ প্রায় ২০০ টির মত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর সমর্থন ও আদায় করেছে যারা কিনা এন্টারপ্রাইজ ইথোরিয়াম এলাইন্সের সাথে যুক্ত হয়েছে।
An initial coin offering (ICO) is a means of crowdfunding centered around cryptocurrency, which can be a source of capital for startup companies. ... These tokens become functional units of currency if or when the ICO's funding goal is met and the project launches.
এছাড়াও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থার বাইরে গ্লোবাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক হিসেবে লাইট কয়েনের ব্যবহার শুরু হয়। মনেরো নামে অপর আরেকটি ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচলন শুরু হয় যার একটি বৈশিষ্ট্য হলো রিং সিগনেচার যা কিনা লেনদেন কে সম্পূর্ন ভাবে আনট্রেসেবল করে দেয়। এবং ড্যাশ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ততক্ষনাৎ লেনদেনের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
এক নজরে বিটকয়েনের ইতিহাস
বিটকয়েন প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে ফার্স্ট মুভার এডভানটেজ পেয়ে আসছে এবং এটার বড় সংখ্যক বিশ্বস্ত ব্যবহারকারী ইতিমধ্যে আছে যার কারনে পরবর্তীতে বিটকয়েন ব্যবহারের জায়গা ক্রমশ বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে এটার ব্যবহারও বৃদ্ধি পায় যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকয়েন ইকোসিস্টেমে ক্রমাগত ফিয়াট কারেন্সির ব্যবহার বৃদ্ধি। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এই পর্যায়ে এসে যেখানে বিটকয়েন সহ সব ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য ১১ বিলিয়ন ইউএস ডলার ছিল তা বেড়ে ৩০০ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌছে যায়। ২০১৮ এর শুরুর দিকে বর্তমানে এর বাজার মুলধন আছে ২৫০ বিলিয়নের কাছাকাছি যেখানে পার বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ১৪ হাজার ইউএস ডলারের উপরে নিচে উঠানামা করছে। ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কারেন্সি বিটকয়েন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা ১৩৮৪ ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং তা ক্রমশ বাড়ছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি যেখানে বর্তমানে বাজওয়ার্ডে পরিনত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত আলোচনা সমালোচনা চলছে, যেখানে কেউ এটাকে ভবিষ্যৎ কারেন্সি হিসেবে আখ্যায়িত করছেন আবার কেউ বলছেন এটা অর্থনীতির ক্ষেত্রে সাময়িক আর্থিক কেলেংকারি ছাড়া কিছুই নয়। ভবিষ্যত অর্থনীতির গতিপ্রকৃতিই বলে দিবে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ অর্থনীতির ভিত্তি কী হতে যাচ্ছে। অর্থনীতির বিদ্যমান কাঠামো, নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা, সরকার ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সব কিছুই ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে ব্লকচেইন রেভুল্যশন এ পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে নাকি কেন্দ্রীভূত কাঠামো ব্যবস্থা ভেঙ্গে তা বিকেন্দ্রীকরনের দিকে যাচ্ছে কিনা তার উত্তর সময়ই বলে দিবে।