লোকাল সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির সকল বাধা-বিপত্তি

বাংলাদেশ- পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট একটি দেশ যার প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে এবং শৌখিনতা ভালোবাসে। এই দেশে শৌখিনতার অনেক বড় একটি উপকরণ টেকনোলজির ব্যবহার, - হোক সেটা ছোট একটি মোবাইলের ব্যবহার। যদিও টেকনোলজি আজ শুধু শৌখিনতার মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই বরং ডিজিটাল বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবহারও শুরু হয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো টেকনোলজি ব্যবহারের একটি অপরিহার্য অঙ্গ সফটওয়্যার টেকনোলজি যেটি একইসাথে একটি বড় ইন্ডাস্ট্রি। সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে খুব বেশি পুরাতন না হলেও গত ২০ বছরে এটি অনেক বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে বড় হচ্ছে। এই বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি গার্মেন্টস বা বিদেশে মানবসম্পদের মতো বড় একটা ইনকাম খাত হবে। আমার এই লেখাটির প্রধান উদ্দেশ্য লোকাল সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির এই বাধাগুলো চিহ্নিত করা- যাতে করে বিষয়গুলোর সমাধানের উদ্দ্যোগ নেওয়া যায়। ১) সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে বাধা যথাযথ ইনভেস্টমেন্ট না হওয়া যথাযথ ইনভেস্টমেন্ট না হওয়া- আমাদের দেশে সফ...



মু.ই কেন ইরম বা ক্যরিজম্যাটিক কবিতার গুপ্তমন্ত্র খোঁজ

কবি মুজিব ইরমের কবিতার অন্তর্দেশ ঘুরে ক্যারিজম্যাটিক কবিতার গহনের কিঞ্চিৎ ঘ্রাণ নিতে ভেতরে যাওয়ার গুপ্তমন্ত্র খুঁজি। তার আগে কিছু প্রাসঙ্গিক পাঠ নিই- কবি-র স্বভাষা কেন? আমরা জেনেছি, উপভাষা 'রিফ্লেকশন অব দ্য ডীপ ট্রেডিশনাল ভেলিউজ' শুধু না, ভাষাকে পুষ্টি (আ্যাক্রিশন) যোগায়, রসঘন করে, মজায় ভিজায়, টাইট ক'রে ধ'রে, প্রাণোচ্ছল করে, এবং আত্মপরিচয় পাওয়ার পথ সহজতর করে উপভাষা।  প্রমিত ভাষা, মানে স্টান্ডার্ডাইজড ভাষা, ওইটাও গোড়াতে উপভাষা, ওইটারও হাড্ডি মজ্জা স্বভাষা। ওইটাও ডায়ালেক্ট কোনো অঞ্চলের, ঐতিহাসিক কারণে ডমিন্যান্ট হয়েছে, প্রাধান্য পেয়েছে। আর একটি ভাষার ভেতরে অনেক উপভাষা বা স্থানিক ভাষা এসে জমা হয়। ভাষাপন্ডিতগণ বলেন, একটি ভাষা, অনেক উপভাষার (ডায়ালেক্ট) সমন্বয়। উপভাষা, ব্যক্তি মানুষের ভাষিক বিকাশের নির্দিষ্ট স্থরে থাকা ভাষাজ্ঞান বা স্বভাষা (ইডিআলেক্ট)। অন্য ভাষার শব্দেরাও ঢুকে। শক্তিশালি কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী উপভাষার শব্দদের মনোগ্রাহী ক'রে বসিয়ে ...



দীর্ঘ সময় টানা বসে থাকলে মস্তিস্কের ক্ষতি হয়

জীবনের অনেক কাজের ক্ষেত্রেই যেমন ব্রেইনকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়, ঠিক তেমনি আবার সেই কাজের জন্য দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদের বসে কাটাতে হয়। হোক সেটা স্কুলে, অফিসে বা ছোটখাট ঘরোয়া কাজেও। কিন্তু গবেষকদের মতানুসারে আপনি যদি বেশিরভাগ সময় বসে কাটিয়ে থাকেন, আপনার সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। তারা বলেছেন, দিনের দীর্ঘসময় বসে কাটিয়ে দেওয়া আপনার ব্রেইনের কার্যকারিতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।। সাম্প্রতিক আরেকটি গবেষনায় দেখিয়েছে তারা, কিভাবে এই বসে থাকা আপনার ব্রেইনের জ্বালানি (Fuel) সরবরাহে প্রভাব ফেলে কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ব্রেইন হলো আপনার শরীরের গ্লুকোজ বা শ্বেতসার জাত শর্করা ভক্ষক। এটা আপনার শরীরের মোট ওজনের মাত্র ২ শতাংশ কিন্তু এটা প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদার প্রায় ২০% ক্ষয় করে যার অধিকাংশই গ্লুকোজ রুপে। এটাকে বলা হয় ব্রেইনের মৌলিক জ্বালানি। যদি কোন কারনে এই জ্বালানি সরবরাহে বাধাগ্রস্ত হয়, তা আপনার ব্রেইনের সেলকে   দূর্বল করে ফেলে এমনকি সেলের ক্ষতিও করতে পারে। আর তাই ব্রেইনের সুস্থতা...



অটোফ্যাগি বা স্ব-ভক্ষণ যেভাবে আপনাকে সুস্থ্য রাখে

মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকা কি ভালো? আমরা জানি, সুস্থ্য থাকার জন্য শরীরের প্রয়োজনীয় উপদানগুলো সবসময় গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞান বলছে মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকাও ভালো। এতে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নিজে থেকে সমাধান হয়ে যায়; এমনকি ক্যান্সারের মত প্রাণঘাতী রোগ থেকেও রক্ষা পায় মানব দেহ। কিভাবে হয় ব্যপারটা বুঝতে হলে আপনাকে জানতে হবে অটোফ্যাগি (Autophagy)  বা স্ব-ভক্ষণ নামের প্রক্রিয়াটি, যেটি আবিষ্কার করে ২০১৬ সালে জাপানি এক বিজ্ঞানী চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন। অটোফ্যাগি  বা স্ব-ভক্ষণ  জীবের স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখার পিছনে কোষের অভ্যন্তরে অটোফ্যাগি (Autophagy) বা স্ব-ভক্ষণ নামক এক প্রক্রিয়া চলে। সাম্প্রতিককালে এক জাপানীয় বিজ্ঞানীর গবেষনার মধ্যে দিয়ে জটিল মানবদেহের সুস্থতার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বকে যুগান্তকারী আবিষ্কার বলেই গণ্য করা হয়েছে।  এটা এমন এক স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যেখানে কোষ নিজে  পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে। ...



এজ অব ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার

বর্তমান সভ্যতা তথ্য-প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্সের উপরে খুব বেশী নির্ভরশীল। মহাকাশ যান প্রেরণ থেকে শুরু করে দোকানে গিয়ে এক হালি ডিম কেনার জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট, সবই এই তথ্য-প্রযুক্তির দ্বারা হচ্ছে। আর এই পুরো ব্যপারটা দাঁড়িয়ে আছে যোগাযোগ ব্যবসস্থায় ইলেকট্রনিক যোগাযোগের  উপরে নির্ভর করে।  বাংলাদেশে যদিও ওভাবে এখনো ব্যপক ভাবে এটা শুরু হয়নি, কিন্তু উন্নত বিশ্বে এই ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ছাড়া জীবন প্রায় অচল। এসব প্রযুক্তি সেনাবাহিনী ও যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যপক ব্যবহার করা হচ্ছে। ভাবুন আফগানিস্থানের আমেরিকার আক্রমণের ব্যপারটা। হাজার মাইল দূরে কম্পিউটারের সামনে বসে ড্রোন হামলা করে হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলা কিংবাদ অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান ও মিসাইল হামলা, সবই সম্ভব হচ্ছে এই ইলেকট্রনিক যোগাযোগের দ্বারা। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (EW) কী?



মরুভূমিতে টিকে থাকার লড়াই

মরুভূমি অথবা শুষ্ক, অনুর্বর অঞ্চলে টিকে থাকার জন্য সেখানকার পরিবেশকে বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত যেকোন পরিবেশ বুঝতে পারলে সেখানে টিকে থাকার জন্য, মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তোলা সম্ভব ও সহজ হয়। তাই মরুভূমিতে টিকে থাকার জন্য প্রথমত মরূভূমি সম্পর্কে আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা জরুরী। তাহলেই আপনি ঠিক করতে পারবেন সেখানে টিকে থাকার ( Survival) জন্য আপনার কী জিনিস প্রয়োজন হতে পারে এবং কোন ধরনের কৌশল আপনার অবলম্বন করা উচিত। আর এই সার্ভাইভাল সেই নির্দিষ্ট এলাকার উপর আপনার ধারনা, সেখানকার জলবায়ুর মৌলিক উপাদানসমূহর ব্যাপারে বাস্তব জ্ঞানের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এবং সেগুলোর সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আপনার ইচ্ছাশক্তিও বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে এবং টিকে থাকার অন্যতম অনুপ্রেরণা। মরু অঞ্চলের বৈচিত্র্যতা মরুভূমি সম্পর্কে জানার পূর্বশর্ত হলো, প্রাথমিক ভৌগলিক জ্ঞান রাখা। অনুর্বর এলাকাতে ভূখন্ডের গঠন, বিন্যাস ও প্রকারভেদ ভিন্ন ভিন্ন। তারমধ্যে মৌলিক পাঁচটি হলো-



খাওয়ার উপযোগী জীব-জন্তু ও প্রাণী (প্রথম পর্ব)

মানুষের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদার মধ্যে একটি হলো খাদ্য। টিকে থাকার পরিস্থিতি বিবেচনায় সবার আগে খাদ্যের চিন্তাই আমাদের মাথায় আসে। এমনকি পানি, যা শরীরের কার্যকলাপ বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই পানির চাইতেও খাবারের কথা আমরা বেশি চিন্তা করি। আমাদের মনে রাখতে হবে যে বেঁচে থাকার প্রধান তিনটি অনুষঙ্গ পানি, খাদ্য এবং আশ্রয়ের পর্যায়ক্রমিক গুরুত্ব এবং অবস্থান আমাদের ঠিক করতে হবে আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে, এবং এই অনুমান করার ক্ষমতা হতে হবে যথার্থ। আমরা খাবার ছাড়া এক সপ্তাহ বেঁচে থাকতে পারলেও নিরাপদ খাদ্য নির্বাচন এবং প্রাণীজ খাদ্য সংগ্রহের জন্য কিভাবে ফাঁদ পাতা যায় তা ভাবতে ভাবতেও বেশ কিছু দিন সময় এমনকি সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। অতএব, বেঁচে থাকার তাগিদে সারভাইভাল পরিস্থিতির প্রাথমিক পর্যায় থেকেই খাদ্য সংগ্রহ শুরু করতে হবে, কেননা দিনকে দিন আপনার শক্তি ও সহনশীলতা কমবে বৈ বাড়বে না।  খাদ্য হিসেবে প্রাণী যতক্ষণ না আপনি বড় কোন প্রাণী শিকারের সুযোগ পাচ্ছেন, ছোট প...



বিভিন্ন অঞ্চলের বিপদজনক প্রাণীসমূহ

পরিবেশের অন্যান্য অংশের চাইতে প্রাণীজগতের কাছ থেকে জীবন নাশের হুমকি তুলনামূলক ভাবে কম হলেও আপনি নিশ্চয়ই বাঘ, সিংহ, ভল্লুক বা বিশালাকার কোন প্রাণীর সামনে স্বেচ্ছায় পড়তে চাইবেন না। তবে শুধু হিংস্র প্রাণীই নয়, চারণভূমিতে বিচরণ করে বেড়ানো বিশালাকার প্রাণী কিংবা শিং এবং খুঁড় আছে এমন প্রাণীদেরকেও এড়িয়ে চলা উত্তম। প্রাণীদের বিচরণ ভূমিতে চলাফেরার সময় সাবধানতা অবলম্বল করা উচিৎ, এই সাবধানতার জন্যই হয়তো আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন সমূহ বিপদ। আপনার আশ্রয়স্থলের আশেপাশে খোলা জায়গায় উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে রেখে শিকারি প্রাণীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন না। বনে প্রবেশের বা পানিতে নামার আগে অবশ্যই মনোযোগের সাথে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নেবেন।   বড় প্রাণীর চাইতে আকারে ছোট প্রাণীরা আসলে বেশি বিপদজনক। ক্ষুদ্র আকৃতি নিয়ে টিকে থাকার জন্য প্রকৃতি অনেক ছোট প্রাণীকেই দিয়েছে বিষদাঁত এবং তীক্ষ্ণ হূলের মতো ভয়ানক অস্ত্র। প্রতিবছর বিশালাকার হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বহু গুন বেশি মানু...



যখন আগুন ভালবাসে পানি

'তুমহি মেরি মন্দির, তুমহি মেরি পূজা তুমহি দেবতা হো....', পুরান ক্লাসিক খুব দরদভরা এই হিন্দি ছবির গানটি লতা মুঙ্গেশকরের কণ্ঠের, সংগীতভক্ত সবাই শুনে থাকেন মনে হয়, ইউটিউবে ত ওয়াচ করতে পারেনই। ('খানদান' ছবি ১৯৬৫ তে রিলিজ প্রাপ্ত, সুনীল দত্ত ও নতুন অভিনীত) গানটিতে মন্দির পূজা দেবতা থেকেও যে নাই, সেটা দেখা যেতে পারে একটু। ভাষা ত দুয়ার খোলা রাখছেই দেখবার। শিল্প ত বহু নজরে দেখবার সুযোগ দিতেই পারে। মন্দির পূজা দেবতা, এই তিনটি শব্দের ধর্মীয় তাৎপর্য যা আছে তা থাকা সত্বেও এখানে এসেছে অন্য অর্থে। এসেছে সিগনিফায়ার হয়ে, ডেসক্রিপ্টর হয়ে ভালবাসা বোঝাতে। মানে, ভালবাসা মেলে ধরতে, বলা যায় ভালবাসা-যে একটা বিষয়নিরপেক্ষ জিনিষ সেটি বুঝিয়ে দিতে, ভালবাসার মজা কেমন হয় তা দেখাতে এসেছে— এইভাবে ত একটা বুঝ পাওয়ার সুযোগ আছে।  বিশ্বাসে ধর্মে উপাসনাতে উপাসনালয়ে যায় মানুষ ভালবাসার খোঁজে — শান্তি স্বস্থির খোঁজে। তা না হলে যা হয় তা অন্য কিছু, অন্য এজেণ্ডা ভাবা যায়।