ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বিটকয়েনের ইতিহাস

প্রথম দুই পর্বে ব্লকচেইন  নিয়ে আমরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। এবারের পর্বে থাকছে  এই প্রতিভাধর উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে  লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত ডিজিটাল কারেন্সির ইতিহাস নিয়ে।  ডিজিটাল কারেন্সি মূলত ইন্টারনেট নির্ভর কারেন্সি যা ফিয়াট মানি (যেমন ব্যাংক নোট, কয়েন) থেকে ভিন্ন এবং যার  বাস্তব দৃশ্যমানতা নেই।  এটা শুধু দুই পক্ষের মধ্যে অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয়। তা সত্ত্বেও ডিজিটাল কারেন্সি ফিয়াট কারেন্সির মত  একই সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ করে। এই ডিজিটাল কারেন্সিকে ডিজিটাল মানি, ইলেক্ট্রনিক মানি বা ইলেক্ট্রনিক কারেন্সি ও বলা  হয় যার অন্যতম বড় সুবিধা হলো ততক্ষনাৎ লেনদেন এবং  দ্রুত সময়ে  মালিকানার সীমানাবিহীন হস্তান্তর। ভার্চুয়াল কারেন্সি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি কে ডিজিটাল কারেন্সির প্রধান দুই উপসেট হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে বিবেচ্য এই ক্রিপ্টোকারেন্সি  নিয়ে আজকের এই পর্ব।  প্রযুক্তি নিয়ে মানুষের এখন প...



ব্লক চেইন কিভাবে কাজ করে?

ব্লকচেইন মূলত কতগুলা ব্লকের সমষ্টি যেগুলা কিনা তথ্য ধারন করে। এবং প্রতিটি ব্লক একইরকম। ১৯৯১ সালে একদল গবেষক এই পদ্ধতি টি উদ্ভাবন করেন। তারপর থেকে ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত এটাকে কার্যকরি করা হয়নি।  সাতোশি নাকামোতো নামের একজন ব্যক্তি বা গ্রুপ এটাকে  ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্ভাবনের মধ্যে  দিয়ে  মার্কেটে প্রচলন করেন। ইমেজঃ ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ব্লক চেইনের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ব্লকে নির্দিষ্ট কিছু একইরকম  ফিচার এর প্রয়োগ হয়েছে। যেমন বিটকইয়েন ব্লকচেইন (ব্লকচেইনের কারেন্সি হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহার করা হলে) এ প্রতিটি ব্লকে হ্যাশ ব্যবহার করা হয় যা কিনা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মত ইউনিক এবং পরবর্তী ব্লকে পূর্ববর্তী ব্লকের হ্যাশ ব্যবহার করা হয়, যেটা  পস্পরের সাথে যুক্ত  হয়ে চেইন গঠন করে।  যেহেতু প্রযুক্তি বিশ্বের একটি কমন  কিন্তু  বড় সমস্যা ছিল নিরাপত্তার অভাব, যেটা বিদ্যমান কোন লেনদেন ব্যবস্থা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সেখানে কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তি লে...



ব্লকচেইনঃ যে প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে সব হিসেব

ডন এন্ড এলেক্স ট্যাপস্কট তাদের "ব্লক চেইন রেভুলুশ্যন" (Don & Alex Tapscott, authors of Blockchain Revolution, 2016) বইতে প্রথমবারের মত ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিভাবে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ডিজিটাল কারেন্সির অন্তরালে ফিয়াট কারেন্সি, বিজনেস এবং পুরো বিশ্বকে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি প্রযুক্তি বিশ্বের সাথে কোন না কোন ভাবে কানেক্টেড থাকেন, অবশ্যই শুনে থাকবেন 'ব্লক চেইন' শব্দটি। আধুনিক বিশ্বে এখন এটি শুধু একটি বাজওয়ার্ড ই নয়, এটাকে বলা হচ্ছে অনস্বীকার্য ভাবে একটি প্রতিভাধর উদ্ভাবন যেটা কিনা বিশ্ব অর্থনীতিতে রেভুলুশ্যন ঘটিয়ে দিচ্ছে। সাতোশি নাকামোতো নামের ছদ্মনামের এক বা একাধিক লোকের একটি গ্রুপের ব্রেইনচাইল্ড হলো এই ব্লকচেইন টেকনোলজি যেটা ২০০৯ সালে প্রযুক্তি বিশ্বে শুরু হয়। ব্লক চেইন কী? ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে থার্ড পার্টির সাহায্য ছাড়া গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রেখে, গ্রাহক টু গ্রাহক লেনদেনের একটি মাধ্যমই এই ব্লক চেইন। ক্রিপ্টো কারেন্সি হিসেবে সর্বপ্রথ...