টিকে থাকার লড়াই / সার্ভাইভাল গাইড


সার্ভাইভাল

এরকম কোন পরিস্থিতির কথা ভাবুন তো— আপনি বেড়াতে গিয়ে জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছেন বা বোট ডুবে রবিনসনক্রশোর মত কোন দ্বীপে গিয়ে পড়েছেন। কিংবা বিমান দূর্ঘটনায় গিয়ে পড়েছেন অচেনা জনমানবহীন কোন জঙ্গল, পাহাড় অথবা মরুভূমিতে। অথবা যুদ্ধের কারণে বদলে গিয়েছে আপনার পরিচিত পৃথিবী। জীবন ধারণ হয়ে পড়েছে টিকে থাকা নির্ভর। হতে পারে না এরকম? হচ্ছে তো অনেকের সাথেই। আপনার সাথেও যদি ঘটে, কী করবেন তখন? কিভাবে টিকে থাকবেন? অথবা, আপনি হয়তো এ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। পাহাড়, জঙ্গলে ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন। বিয়ার গ্রাইল্স-এর মত দূর্গম সার্ভাইভাল এ্যাডভেঞ্চার করে বেড়াতে চান। এরকম সকল পরিস্থিতিতে কী করতে হবে এবং কিভাবে টিকে থাকতে হবে, সেসব বিষয় নিয়েই আজ আমরা কথা বলবো। জানার চেষ্টা করবো সার্ভাইভাল পরিস্থিতিতে কী করতে হয়। কত ধরনের বিপদ ও ঘটনা ঘটতে পারে, তাও জানবো। আর যেহেতু এটা আপনার জীবন-মরনের প্রশ্ন এবং জীবন ধারণের যাবতীয় সব কিছু এতে রয়েছে, তাই এই ফিচারের আকৃতিও বিশাল। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ শব্দের এই ফিচারের আকৃতি দিনে দিনে আরো বাড়বে। আমরা চেষ্টা করবো জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে। টিকে থাকার জন্য প্রতিটি বিষয়ে অল্প কথায় হলেও কিছু জানাতে, আরো জানার পথ তৈরি করে দিতে।

এরকম কোন পরিস্থিতিতে যদি আপনার সাথে একাধিক লোকজন থাকে, তাহলে টিকে থাকাটা তুলনামূলক ভাবে সহজ হবে। কিন্তু আপনি একাই পড়তে পারেন, বিশেষ করে দূর্গম কোন অঞ্চলে। এখানে করনীয়গুলো এক বা একাধিক, সকলের জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু একা হলে সময় ও শক্তি বাঁচানোর জন্য আপনাকে কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। সেসব নিয়েও আলোচনা করবো আমরা। আপনি যদি ভাগ্যবান হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো আধুনিক দুনিয়ার কিছু যন্ত্রপাতি/গিয়ার আপনার সাথে থাকে। আবার তেমন কিছু নাও থাকতে পারে আপনার হাতে। থাকলে কীভাবে সেগুলো ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষন করবেন এবং না থাকলে কী করবেন, সব নিয়েই আমরা আলোচনা করবো।
এই ফিচারটি লেখা হয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীর FM 3-05.70 ফিল্ড ম্যানুয়ালের উপরে ভিত্তি করে। সুতরাং এতে দেয়া তথ্যগুলোর উপরে আপনি নীর্ভর করতে পারেন। তথাপিও আরো বিস্তারিত জানার জন্য সার্ভাইভাল বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়তে পারেন। এধরনের কিছু বইয়ের তালিকা আমরা ফিচারের শেষের দিকে রেখেছি এবং চেষ্টা করা হবে সেখানে নতুন নতুন বই যুক্ত করার জন্য। মূলত, এই ফিচারটি নিয়মিত আপডেট হবে। আপডেটেড আর্টিকেলগুলোর ব্যপারে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ GleeEra-তে জানানো হবে। তাহলে শুরা করা যাক।

Survival Abbreviation
সার্ভাইভাল (SURVIVAL) একটি ইংরেজী শব্দ যা আদি ল্যাটিন (Super Vivere) থেকে ফ্রেঞ্চ (Sourvivre) হয়ে ইংরেজীতে SURVIVE হয়েছে। SURVIVAL শব্দের ভেতরেই লুকিয়ে আছি কিভাবে আপনি সার্ভাইভ করবেন বা টিকে থাকবেন। SURVIVAL শব্দটিকে ভাঙলে পাওয়া যায়- S—SIZE UP THE SITUATION, U—USE ALL YOUR SENSES, UNDUE HASTE MAKES WASTE, R—REMEMBER WHERE YOU ARE, V—VANQUISH FEAR AND PANI, I—IMPROVISE, V—VALUE LIVING, A—ACT LIKE THE NATIVES এবং L—LIVE BY YOUR WITS. এগুলো সব নিয়ে আমরা আলোচনায় যাওয়া আগে একটা ব্যপারে সতর্ক করে দেয়া জরুরী। 'এ্যাক্ট লাইক নেটিভস' বা স্থানীয়দের অনুসরণ করার সময় এটা মাথায় রাখবেন যে- 'পশু-পাখি যা খাচ্ছে সবই আপনার খাওয়ার উপযোগী নয়। এমন অনেক বিষাক্ত জিনিষ আছে যা পশু-পাখি খেয়ে থাকে কিন্তু আপনি খেতে পারবেন না'।
'পশু-পাখি যা খাচ্ছে সবই আপনার খাওয়ার উপযোগী নয়। এমন অনেক বিষাক্ত জিনিষ আছে যা পশু-পাখি খেয়ে থাকে কিন্তু আপনি খেতে পারবেন না'।
S—SIZE UP THE SITUATION: আপনি যদি শত্রুপরিবেষ্টিতে পরিবেশে টিকে থাকতে চান, তাহলে এমন স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন। আপনার নিজের নিরাপত্তা সবার আগে। আপনার চোখ-কান-নাক খোলা রাখতে হবে পরিস্থিতি বোঝার জন্য। চারপাশে কী ঘটছে সেটা বুঝে আপনাকে আগাতে হবে।
আপনি যেখানে অবস্থান করবেন, সেখানকার পরিবেশ বুঝতে হবে। সে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চল বা সাধারণ জঙ্গল, জলাভূমি, পাহাড় বা মরুভূমিই হোক না কেন, এর নির্দিষ্ট একটি আদর্শ ধরণ (pattern) ও ছন্দ (rhythm) আছে। যান-বাহন, সাধারণ মানুষ, শত্রুর বা পশু-পাখি, পতঙ্গের গতিবিধি ও আওয়াজ; এর সবই এই ছন্দের অন্তর্গত। আপনার নিজের শারীরিক অবস্থাও পর্যবেক্ষনে রাখতে হবে। কোন কারণে আহত হয়ে থাকলে বা পরিবেশ যদি প্রতিকূল হয়, সেগুলো আপনার শরীর/স্বাস্থ্যের উপরে কেমন প্রভাব ফেলছে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিগুলোর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এগুলোর কার্যকারীতা এবং ব্যবহারউপযোগীতার নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো সব ঠিক থাকলে ধরে নিতে পারেন টিকে থাকার জন্য প্রস্তুত। এরপর আপনার প্রয়োজন খাবার, পানি ও বাসস্থান।

U—USE ALL YOUR SENSES, UNDUE HASTE MAKES WASTE: কোন ব্যপার বুঝে ওঠার আগেই যদি আপনি পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন তাহলে সেটা আপনার জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। যেকোন পদক্ষেপ নেয়ার আগে ভালো করে ভেবে নিন, আপনার নিজের ও চারপাশের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। তাড়াহুড়া অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী হারানো থেকে শুরু করে পথ হারানো কিংবা ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করার মত ব্যপার ঘটতে পারে; যা আপনার অস্তিত্বের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।

R—REMEMBER WHERE YOU ARE: আপনি কোথায় আছেন বোঝার চেষ্টা করুন। সাথে ম্যাপ-কম্পাস থাকলে সেটির সাথে আশেপাশের পরিবেশ মিলিয়ে নিজের অবস্থান বের করুন। না থাকলে চারদিকের পরিবেশ, চাঁদ-তারা-সূর্যের অবস্থান, আবহাওয়া ও গাছপালা/প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে বোঝার চেষ্টা করুন কোথায় আছেন। যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানের সবচাইতে কাছের বিশুদ্ধ পানির সোর্স ও খাবার সংগ্রহের উপায়গুলো জেনে নিন। যদি সাথে কেউ থেকে থাকে, তাদেরকেও জানিয়ে রাখুন। আপনার সঙ্গী-সাথীর সংখ্যা যদি একাধিক হয় তাহলে কে কোথায় আছে কোথায় যাচ্ছে এসব খোঁজ রাখুন। নিজে কোথাও যাওয়ার আগেও বুঝে নিন সবকিছু, অন্যদের জানিয়ে রাখুন আপনার বর্তমান ও ভবিষ্যত অবস্থান।

V—VANQUISH FEAR AND PANIC: দুঃশ্চিন্তা, ভয় এবং প্যানিক হয়ে যাওয়া হচ্ছে আপনার সবচাইতে বড় দূর্বলতা। এটা স্বাভাবিক জীবনে বিপদজনক, সার্ভাইভাল সিচ্যুয়েশনে আরো বেশী বিপদজনক। সঠিক ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নিতে এগুলো বাঁধার সৃষ্টি করে। গুলো মানুষকে বাস্তবিক অবস্থার চাইতে নিজের কল্পনা ও অনুভূতির উপরে ভিত্তি করে চলতে বাধ্য করে। যা আপনার কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, নেতিবাচক চিন্তা বাড়িয়ে দিয়ে আপনার টিকে থাকার সম্ভবনা নষ্ট করে। আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়। তাই এগুলো নিয়ন্ত্রনে রাখা জরুরী।

I—IMPROVISE: আধুনিক বাজার ব্যবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র এত সহজেই আপনি সংগ্রহ করতে পারেন যে কখনো সেগুলোর না পেলে কিভাবে চলবেন তা আপনার ভাবনাতেও নেই। হাতের কাছে যা আছে তা দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়ার মানসিকতা আমাদের নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একারণে। কিন্তু যখন আপনাকে দুর্গম, প্রত্যন্ত অঞ্চলে অথবা যুদ্ধাবস্থায় এগুলো ছাড়াই বাঁচতে হবে তখন কিভাবে কী করবেন? একারণে আপনাকে জানতে হবে, হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে কিভাবে কাজ চালিয়ে নিতে হয়। কিভাবে ইমপ্রোভাইস করতে হয়।

V—VALUE LIVING: আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় আমরা অনেক আরামপ্রিয় হয়ে উঠেছি। কিন্তু বিপদে পড়লে এই আরামের পরিবেশ ছেড়েও যে আপনাকে থাকতে হবে, সেকথা মাথায় রাখা জরুরী। আজকে আপনি যে আরাম-আয়েশের জীবনে আছেন, সেটার বাইরেও যে কঠিন ও বিপদজনক জীবন বা সময় আসতে পারে, সে ব্যপারে প্রস্তুতি থাকা জরুরী। তাই কমফোর্ট জোনের বাইরে এসে আপনাকে ভাবতে হবে, বাঁচতে শেখার চেষ্টা করতে হবে, সর্বপরি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।

A—ACT LIKE THE NATIVES: আপনি যেখানে থাকবেন, সেখানকার অধিবাসী, জীব-জন্তু কিভাবে কী করছে, এসব খেয়াল করে সে অনুযায়ী চলতে পারলে টিকে থাকাটা আপনার জন্য সহজতর হবে। তাই যখন যেখানে থাকবেন, সেই পরিবেশের সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। জঙ্গলে থাকলে জঙ্গলের প্রাণীদের চলাফেরা, খাবার গ্রহন, পানি সংগ্রহের পথ ও উপায় খেয়াল করতে হবে। যদিও, বন্যপ্রাণী যা খায় তার সবই আপনার জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু বিষাক্ত খাবার রয়েছে যা বন্য প্রাণীরা খেতে পারে, আপনি পারবেন না। অচেনা জনপদে থাকলে, তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাপন পদ্ধতিকে আপনার সম্মান জানাতে হবে, তাদের সাথে তাদের মত করে মিশতে হবে। এগুলো আপনার টিকে থাকার সম্ভবনা বাড়িয়ে দিবে।

L—LIVE BY YOUR WITS, BUT FOR NOW, LEARN BASIC SKILLS: পূর্ব প্রস্তুতি, দক্ষতা, ট্রেইনিং ও পড়াশোনা/জানাশোনা না থাকলে এধরনের পরিস্থিতিতে আপনার টিকে থাকার সম্ভবনা অনেক কম। তাই নাগরিক জীবনের বাইরেও জীবন ধারণের কিছু বেসিক দক্ষতা সবার অর্জন করে নেয়া জরুরী। এই দক্ষতাগুলো নিয়ে আমরা নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

মানসিক প্রস্তুতি

সংকটকালীন সময়ে শুধুমাত্র জ্ঞান এবং দক্ষতা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। আশ্রয়স্থল নির্মান, খাবার সংগ্রহ, আগুন তৈরি, কোন সাহায্য ও যন্ত্রপাতি ছাড়াই বিপদজনক এলাকায় টিকে থাকার জন্য জ্ঞান, দক্ষতার পাশাপাশি মানসিক শক্তি অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন। এধরনের পরিস্থিতি থেকে এমন অনেক মানুষ শুধুমাত্র মানসিক শক্তির উপরে ভর করে বেঁচে ফিরেছেন যাদের তেমন কোন ট্রেইনিং বা টিকে থাকার জ্ঞান ছিলো না। আবার অনেক ট্রেইনিং, দক্ষতা এবং পর্যাপ্ত রসদ নিয়েও অনেকে বেঁচে থাকতে পারেনি শুধুমাত্র মানসিক শক্তির অভাবে। সার্ভাইভাল স্কিল গুরুত্বপূর্ন কিন্তু টিকে থাকার মনোভাব জরুরী। টিকে থাকার ইচ্ছে না থাকলে অনেক জ্ঞান ও দক্ষতা আপনার কোন কাজে আসবে না।

টিকে থাকার বিশেষ সাইকোলজি আছে। এধরনের পরিস্থিতিতে আপনি প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকবেন যা আপনার মনের উপরে প্রভাব ফেলবে। এধরনের পরিস্থিতি আপনার ভেতরে যেসব ভাবাবেগ তৈরি করবে তা ঠিকমত না বুঝতে পারলে বিপদে পড়বেন। এটা আপনার টিকে থাকার ভরসা নষ্ট করে দিতে পারে এমনকি অনেক ভালো ট্রেইনিং নেয়া দক্ষ একজন ব্যক্তিও ভেঙে পড়তে পারে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে কেমন ধরনের মানসিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, সে সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। এরকম মানসিক অবস্থা ও করণীয় নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করবো যা যেকোন পরিস্থিতিতে আপনাকে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি

সার্ভাইভাল পরিস্থিতিতে কী ঘটতে পারে এবং কিভাবে সেটাকে মোকাবিলি করবেন, তা ঠিক করাই হচ্ছে প্ল্যানিং বা পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ আপনার টিকে থাকার সম্ভবনা বাড়িয়ে তুলবে।
প্রস্তুতি মানে হচ্ছে সাথে থাকা যন্ত্রপাতি, রসদগু ও নিজেকে সম্ভাব্য যেকোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা। যথাযথ প্রস্তুতি আপনার টিকে থাকার ক্ষমতা ও সম্ভবনা বৃদ্ধি করবে। যেমন আপনি নিজের জুতা জোড়া পর্যবেক্ষন দিয়ে শুরু করতে পারেন। ওগুলো ঠিক আছে কিনা, সোল ভালো আছে কিনা এবং পানি ভেতরে ঢুকতে পারে কিনা খতিয়ে দেখলেন। আশেপাশের পরিবেশ, আবহাওয়া, ভূখণ্ডের ধরন এবং খাবার ও পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা দেখে নিলেন। আপনাকে প্রতিনিয়ত এসব ব্যপার খেয়াল রাখতে হবে। এমনকি ভালো একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করে ফেলার পরেও এগুলোর উপরে আপনাকে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা আপনার মূল পরিকল্পনা পরিবর্তন করে দিতে পারে। টিকে থাকার প্রয়োজনে আপনি সকল সিদ্ধান্ত নিবেন এবং প্রয়োজনে পরিকল্পনা বদলে দিবেন। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি

খুব ছোট একটা সামগ্রী বা যন্ত্রও খুব দামী হয়ে উঠতে পারে যখন আপনি বিপদে পড়বেন। একটা সামান্য ম্যাচ বাক্সের কথাই ধরা যাক। গভীর জঙ্গল বা পাহাড়ে যেখানে চাইলেই আপনি আগুন জ্বালানোর জন্য ম্যাচ বা লাইটার কিনতে পারছেন না, সেখানে এর মূল্য কত ভেবে দেখুন। আপনার নগর জীবনেও খুব গরুত্বপূর্ন দ্রব্যগুলো হাতের কাছে রাখা জরুরী। ধরুন ভূমিকম্প হয়ে আপনার নগরী বিধ্বস্ত হয়েছে। তখন চাইলেও আপনি যেকোন প্রয়োজনীয় সামগ্রী দোকান থেকে কিনে সংগ্রহ করতে পারবেন না। তাই এধরনের অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী সবসময় হাতের কাছে রাখা ভালো। এরকম যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করবো এবং একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেয়ার চেস্টা করবো। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ঔষধ

সকল গুরুত্বপূর্ন ব্যপারগুলোতে আপনার ভালো প্রস্তুতি থাকার পরেও শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ঔষধের অভাবে আপনার বেঁচে থাকার সম্ভবনা কমে আসতে পারে। সেটা কোন দূর্ঘটনায় আহত হওয়া থেকে আবহওয়া ও পরিবেশগত রোগবালাই থেকেও হতে পারে।
অনেক বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে বেঁচে ফেরা লোকজনের একটা কমন রিপোর্ট ছিলো পর্যাপ্ত ম্যাডিকেল সাপ্লাইয়ের অভাব নিয়ে। নিজের চিকিৎসা নিজে করতে পারা ও হাতের কাছে পাওয়া বস্তুগুলো দিয়ে ঔষধ তৈরি করে নিতে পারার ট্রেইনিং যদি আপনার থাকে তাহলে যেকোন পরিস্থিতিতে এটা আপনাকে মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী করে তুলবে। আপনি যদি পাহাড় বা জঙ্গলে হারিয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে সেখানকার গাছপালা ব্যবহার করে ঔষধ বানাতে পারবেন। শহরে দূর্যোগকালীন সময়ে আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেও কিছু বেসিক মেডিসিন তৈরি করে নিতে পারবেন।এসব নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এখানে, সাথে সকল ঔষধি গাছের ছবিসহ একটি তালিকা আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

মানুষের সাথে যোগাযোগ

যুগে যুগে মানুষ ভূত-প্রেত, হিংস্র জীবন-জন্তুর ভয় দেখিয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়েছে। কিন্তু দুঃজনক হলেও সত্যি যে, সত্যিকার বিপদজনক প্রাণী হচ্ছে মানুষ নিজে। যেকোন বিপদে পড়লে এবং খুব দীর্ঘমেয়াদী সার্ভাইভাল সিচ্যুয়েশনে আরেকজন মানুষ আপনার বিপদের সবচাইতে বড় উৎস হয়ে উঠতে পারে। তাই এধরনের পরিস্থিতিতে মানুষদের সাথে কিভাবে ডীল করতে হবে এবং কিভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে হবে, এই ধারণা থাকা জরুরী। বিশেষত, আপনি যদি রিমোট কোন এলাকায় গিয়ে এরকম পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে সেখানকার অধিবাসীরা আপনাকে সাহায্য করবে নাকি বিপদে ফেলবে, এটা বোঝা জরুরী। তাই সতর্ক থাকা ভালো। এরকম বিভিন্ন বিপদের কারণ, সতর্কতা ও মানুষের সাথে ডীল করার নানা বিষয়াদী নিয়ে আলোচনা করবো আজকে। বিস্তারিত পড়ুন...

স্মার্টফোন এপস

সার্ভাইভাল পরিস্থিতিতে একটি স্মার্টফোন হয়ে উঠতে পারে আপনার টিকে থাকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন একটি যন্ত্র। চার্য দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ না থাকলেও সোলার চার্যার দিয়ে আপনি সহজেই একটি স্মার্টফোন চালিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু শুধু একটি স্মার্টফোন কোন কাজে আসবে না যদি এর ভেতরে প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশনগুলো না থাকে। তাই, টিকে থাকার ব্যপারে সাহায্য করতে পারে এরকম কিছু এপ্লিকেশন ও এর ব্যবহার নিয়ে আমরা আলোচনা করবো এখানে। স্মার্টফোনে এমন অনেক এপ্লিকেশন আছে যেগুলো থাকলে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক উপকারণ আপনাকে আলাদা করে কিনতে হবে না। এই যেমন কম্পাস, ম্যাপ, চর্টলাইট, সিগনাল পাঠানোর যন্ত্র ইত্যাদি। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

পাওয়ার / বিদ্যুৎ উৎপাদন

আপনার স্মার্টফোনটি চালাতে যেমন বিদ্যুৎ প্রয়োজন তেমনি এর আরো অনেক ব্যবহার রয়েছে যা আপনারা ইতিমধ্যে জানেন। তাই সার্ভাইভাল পরিস্থিতিতে যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন, তাহলে সেটি আপনার টিকে থাকাকে অনেক সহজ ও আরামদায়ক করে দিবে সন্দেহ নেই। তো, কিভাবে আপনি নিজে নিজে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন? অনেক উপায় আছে। সেই উপায়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে এখানে। যেকোন পরিস্থিতিতে হাতের কাছে থাকা বিভিন্ন জিনিষ ব্যবহার করে আপনি নিজেই দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন এরকম একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

মৌলিক চাহিদা / বেসিক নীডস

আশ্রয়স্থল নির্মাণ

আশ্রয়। যেকোন পরিবেশে টিকে থাকার জন্য প্রথমেই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে একটি নিরাপদ আশ্রস্থল। এটি আপনাকে বিরুপ পরিবেশ থেকে শুরু করে পোকামাকড় ও বন্য প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করবে। একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক শক্তির যোগান দিয়ে থাকে। বাকীটুকু পড়ুন... (coming soon)

পানি আহরণ

পানি ছাড়া জীবন বাঁচতে পারে না, তাই পানি হচ্ছে টিকে থাকার লড়াইয়ে সবচাইতে বেশী জরুরী। যখন আপনার শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যাচ্ছে, সেসময় পানির প্রয়োজন আরো বড় হয়ে দেখা দেয়। এমনকি, খুব ঠান্ডা পরিবেশেও দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি আপনার প্রয়োজন। সুতরাং পানি সংগ্রহের ব্যপারটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। বাকীটুকু পড়ুন... (coming soon)

খাদ্য আহরণ

বেঁচে থাকার জন্য মানুষের সবচাইতে জরুরী প্রয়োজনের একটি হচ্ছে খাবার। টিকে থাকার যুদ্ধে যেকোন পরিস্থিতির কথা কল্পনা করলে, খাবারের কথা সবার আগে আমাদের মাথায় আসে। এমনকি যে পানি ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারি না, সেই পানির চাইতেও খাবারের কথাই আমরা বেশী ভাবি। তাই টিকে থাকার লড়াইয়ে খাদ্য যোগাড় অন্যতম গুরুত্বপূর্ব ব্যপার। বাকীটুকু পড়ুন... (coming soon)

প্রাথমিক কৌশল

টুলস এন্ড ইকুইপমেন্টস

কিছু যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম আপনার টিকে থাকাকে সহজতর করে দিতে পারে। এই যেমন একটি ছুরি আপনার অনেক কাজে লাগবে। এটি ছাড়া আপনি অনেক কিছুই সহজে করতে পারবেন না। সে ছোট একটি ডাল কাটা হোক বা ধরে আনা মাছ/পাখি, অথবা ছোট একটি মাটির গর্ত খোঁড়া। এই টুলস এন্ড ইকুইপমেন্টসের যোগান ও এর যত্ন সম্পর্কে আপনাকে অবহিত থাকতে হবে। বাকীটুকু পড়ুন... (coming soon)

পথ চেনার উপায়

দুর্গম অঞ্চল অথবা যেকোন সার্ভাইভাল পরিস্থিতিতে আপনার কাছে যদি একটি ম্যাপ ও কম্পাস থাকে, তাহলে নিজে আপনি পৃথিবীর সবচাইতে সৌভাগ্যবানদের একজন ভেবে নিতে পারে। এগুলো এত জরুরী কারণ, ঐ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য আপনাকে পথ খুঁজে পেতে এগুলো সাহায্য করবে। কিন্তু যদি এরকম কিছু আপনার কাছে না থাকে, তাহলে আপনি কিভাবে পথ খুঁজে পাবেন? বাকীটুকু পড়ুন... (coming soon)

আগুন জ্বালানো

টিকে থাকার লড়াইয়ে আগুন মাঝে মাঝে আপনার জীবন বাঁচানোর অন্যতম একটি উপকরণ। এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। ভালো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, বিরুপ পরিবেশে টিকে থাকা নিশ্চিত করতে আগুন সাহায্য করে। আগুন জ্বালানোর মত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যদি আপনার কাছে থাকে, তাহলে আপনি ভাগ্যবান। কিন্তু যদি না থাকে, তাহলে কীভাবে ধরাবেন আগুন? বাকীটুকু পড়ুন... (coming soon)

ক্যামোফ্লেজ বা ছদ্মবেশ

প্রতিকূল শত্রুতাপূর্ন এলাকায় টিকে থাকার জন্য ক্যামোফ্লেজ বা ছদ্মবেশ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ন। আপনার নিজেকে, প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি ও চলাফেরাকে গোপন করতে হতে পারে, শত্রু বা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে। নিজেকে লুকিয়ে রাখার কৌশল আপনাকে খাবার যোগাড়ে সাহায্য করবে। কোন আধুনিক যন্ত্র-পাতির সাহায্য ছাড়াই, শুধুমাত্র তীর/ধনুক/বর্শা ব্যবহার করে। বাকীটুকু পড়ুন... (coming soon)

সিগনাল বা সংকেত কৌশল

যুদ্ধ-বিগ্রহে যদি পুরো পৃথিবী ধ্বংস না হয়ে থাকে তাহলে যেকোন বিপদে আপনাকে উদ্ধার করার মত কেউ না কেউ থাকবে। কিন্তু তারা আপনার খোঁজ কিভাবে পাবে যদি আপনি জানাতে না পারেন? এই জায়গাতেই সিগনাল দেয়া বা পাঠানোর প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার জানা গুরুত্বপূর্ন। সিগনাল যে শুধুমাত্র যন্ত্রপাতি দ্বারা দেয়া সম্ভব, এমনও না। কিছু কিছু সিগনাল শুধুমাত্র নিজের জ্ঞান ও মেধা কাজে লাগিয়ে দেয়া সম্ভব। এই যেমন ধরুন আপনি কোন দ্বীপে আটকা পড়েছেন। চাচ্ছেন আকাশ থেকে কোন বিমান আপনার অবস্থান সম্পর্কে জেনে আপনাকে উদ্ধার করতে টীম পাঠাক। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক প্যাটার্ন কাজে দেয়। এই যেমন বড় আকারের একটি ক্রস চিহৃ, ত্রিভুজ, বৃত্ত অথবা লম্বা একটি লাইন তৈরি করলেন যেটা অনেক দূর থেকেও দেখা যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে ধোঁয়া, আগুনের সংকেত বা এরকম আরো অনেক কিছু রয়েছে। আবার এমনও হতে পারে যে কোন একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সিগনাল আপনার বিপদের কারণ হতে পারে। এই যেমন ধরুন আশেপাশে দস্যুদের উপস্থিতি রয়েছে আর আপনি ধোঁয়া তৈরি করে তাদের ডেকে এনে বিপদে পড়ে গেলেন। তাই সিগনাল দেয়ার আগে বুঝে দেয়াও গুরুত্বপূর্ন। এরকম সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা এখানে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

দৃষ্টি আকর্ষণ করার দু'টো প্রধান উপায় হচ্ছে দৃশ্যমান কিছু তৈরি এবং শব্দ সৃষ্টি। আপনার পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে কোনটি সেখানে বেশী কার্যকর হতে পারে।

পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা

আপনি কেমন ধরনের পরিবেশে বিপদে পড়েছেন তার উপরে আপনার নীর্ভর করে ঠিক করতে হবে আপনার টিকে থাকার কৌশল ও পদ্ধতি। এই যেমন, মরুভূমিতে আপনি যেভাবে সার্ভাইভ করবেন বরফ অঞ্চলে সেভাবে করবেন না। জলাভূমিতে ও জলাভূমিতে যা পাহাড়ে তার থেকে ভিন্নতর। তাই, পৃথিবীর বিভিন্ন রকম পরিবেশ সম্পর্কে আপার একটা পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। আবার পৃথিবীতে কত ধরনের বিপদ আসতে পারে (যেমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড়, ভূমিকম্প বা মানসৃষ্ট বিপর্যয় যুদ্ধ/দুর্ভিক্ষ), সেসব সম্পর্কেও আপনার ধারণা রাখতে হবে। নয়তো এধরনের পরিস্থিতিতে টিকে থাকাটা আপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। এরকম খুব গুরুত্বপূর্ন কিছু ব্যপার নিয়ে নিচে আলাদা আলাদা টপিক সাজানো হলো।

মরুভূমি

অনেক ধরনের শুষ্ক ও অনুর্বর ভূখণ্ড রয়েছে পৃথিবীতে। এর ভেতরে প্রধানতম পাঁচটি হচ্ছে উঁচু পর্বতশ্রেণী, শিলাময় মালভূমি, বালিয়ারী, লবনাক্ত জলাভূমি ও ভঙ্গুর ভূমি অঞ্চল। এধরনের পরিবেশে টিকে থাকার জন্য আপনাকে বিশেষ ধরনের ট্রেইনিং নিতে হবে। তার আগে জানতে হবে এই এলাকাগুলো কেমন হয়ে থাকে। বিস্তারিত পড়ুন...

ঠান্ডা আবহাওয়া

ঠান্ডা পরিবেশে টিকে থাকা তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন। তাই এধরনের পরিবেশে টিকে থাকার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষন ও যন্ত্রপাতি/সামগ্রী লাগে। তারচাইতেও বেশী লাগে এধরনের অঞ্চল সম্পর্কে সাম্যক ধারণা থাকা। এখানে এরকম অঞ্চল সম্পর্কে ধারণা দেয়ার পাশাপাশি এসব অঞ্চলে টিকে থাকার কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

ওয়াটার ক্রসিং

টিকে থাকার লড়াইয়ে চলার পথে আপনার জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কোন চোরাবালি, জলাশয়, নদী কিংবা খাল। এমনকি মরুভূমিতেও ফ্ল্যাশ ফ্লাড নামক একটা ব্যপার ঘটে যা আপনার জীবন কেড়ে নিতে পারে। এসব পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করবেন, কেমন ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে তা আপনার জানা থাকতে হবে। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

মানুষের তৈরি বিপর্যয়

যুদ্ধে পারমানবিক, বায়োলজিক্যাল ও রাসায়নিক (NBC) অস্ত্রের ব্যবহার হলে কিভাবে বাঁচবেন? সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্থান, ইরাক, কম্বোডিয়া ও সিরিয়াতে এধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছিলো। আপনার এলাকায় যদি হয় বা আপনি এর ভেতরে পড়ে যান, তাহলে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন? এধরনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা জরুরী। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

ট্রপিক্যাল বা গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চল

ট্রপিক্যাল বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই যেহেতু আমরা নিজেরাই এরকম অঞ্চলে বাস করি। কিন্তু ট্রপিক্যাল অঞ্চল মানেই এত আরামদায়ক নয়। পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশী ট্রপিক্যাল অঞ্চল হচ্ছে রেইন ফরেস্ট, বন-জঙ্গল। ওসব জায়গায় টিকে থাকার জন্য আপনাকে জানতে হবে এর ধরন-ধারন ও প্রকৃতি। তবে এরকম অঞ্চলে খাবার, পানি ও আশ্রয়স্থল নির্মাণ তুলনামূলকভাবে সহজ। প্রচুর উপাদান রয়েছে এসব জায়গায় যা আপনার এসব প্রয়োজন মেটাতে পারে। একইসাথে প্রচুর বিপদও রয়েছে। ট্রপিক্যাল অঞ্চলের সুবিধা ও বিপদগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে টিকে থাকাটা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

সমুদ্র অঞ্চল

সমুদ্রের মাঝে টিকে থাকা সবচাইতে কঠিনতর। হয়তো আপনার জাহাজ ডুবে গিয়েছে বা নৌকা নিয়ে হারিয়ে গিয়েছেন। এরকম অবস্থায় আপনার কাছে মজুদ থাকা রসদের উপরে নির্ভর করছে আপনার টিকে থাকা। এখানে গাছপালা নেই, জীব-জন্তু নেই, খাওয়ার পানি নেই। তাই এরকম পরিবেশে বেঁচে থাকার মৌলিক উপাদানগুলো সংগ্রহ করা সবচাইতে কঠিন। প্রয়োজনীয় জ্ঞান না থাকলে এরকম পরিবেশ থেকে বেঁচে ফেরার অসম্ভব। এই যেমন, এখানে আপনি কিভাবে খাবার পানি সংগ্রহ করবেন তা না জানলে আপনার বাঁচার সম্ভবনা শূণ্য। পৃথিবীর প্রায় ৭০ ভাগ জায়গাই সমুদ্রের দখলে। এই ৭০ ভাঙ অঞ্চলে কিভাবে আপনি টিকে থাকবেন তা জানা এজন্য জরুরী। বিস্তারিত পড়ুন... (coming soon)

বেঁচে থাকার জন্য গাছপালা

কিছুদিন টিকে থাকার জন্য আবাস্থল, খাবার ও পানি যোগাড় করার পর আপনাকে মনোযোগ দিতে হবে উদ্ভিতজগতের দিকে। দীর্ঘদিন টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপদান ওখানে রয়েছে। বন্য ফলমূল থেকে শুরু করে ঔষধ তৈরির জন্য এসব গাছপালা আপনাকে সাহায্য করবে। এছাড়াও, নানারকম বিষাক্ত উদ্ভিদ ও অপ্রয়োজনীয়/ক্ষতিকর উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলো আপনাকে এড়িয়ে যেতে হবে। সুতরাং আপনি সবসময়ই বোঝার চেষ্টা করবেন ওখানে কী রয়েছে এবং সেটাকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন, কোনটা থেকে সাবধান থাকতে হবে। আর এ ব্যপারটা সহজ হয়ে যাবে যদি উদ্ভিদ সম্পর্কে আপনার ধারণা থেকে থাকে। এখানে আমরা প্রয়োজনীয়/অপ্রয়োজনীয় ও ঔষধী উদ্ভিদ নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রাণীজগৎ সম্পর্কে ধারণা

প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকেই বেঁচে থাকার জন্য মানুষ প্রাণীকূলের উপরে নির্ভরশীল ছিলো। খাবার, পোশাক এমনকি অস্ত্র তৈরির জন্যও মানুষ বিভিন্ন জন্তু জানোয়ার শিকার করতো, বশ মানাতো এবং ব্যবহার করতো। আবার এই প্রাণীকূলই মানুষের জন্য বিপদজনক ছিলো। শক্তিশালী বাঘ-সিংহ থেকে শুরু করে সাপ, জোঁক এমনকি সামান্য মশাও আপনার অস্তিত্বের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। যদিও পরিবেশের অন্যসকল বিপদের তূলনায় এগুলো খুব বড় সমস্যা ছিলো না, তবুও সতর্কতা সবসময়ই প্রয়োজন। কোন প্রাণী থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং কোনটি খাওয়া ও ব্যবহার করা যাবে সে সম্পর্কে জানা থাকলে এরকম পরিস্থিতিতে টিকে থাকা আপনার জন্য সহজতর হবে। প্রাণীজগৎ সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

বিপদজনক পরিবেশে টিকে থাকা

ধরুন আপনার দেশে যুদ্ধ চলছে অথবা যুদ্ধ চলছে এরকম কোন দেশে আটকা পড়লেন। পালিয়ে চলে আসার পথ আপাতত বন্ধ। কিছুদিন কিংবা মাস এমনকি কয়েক বছরের জন্যও টিকে থাকার সংগ্রাম আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে। কী করবেন এরকম পরিস্থিতিতে? অন্য যেকোন সার্ভাইভাল থেকে এটা বেশী বিপদজনক অবস্থা। এধরনের পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ সবসময়ই পড়েছে, এখনো পড়ছে এবং ভবিষ্যতেও পড়বে। এধরনের পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় উপকরণের সংগ্রহ ও অন্যদের দ্বারা লুট হয়ে যাওয়া ঠেকানোর জন্য আপনার প্রস্তুতি থাকতে হবে। তাই টিকে থাকাটা ভিন্নরকম এখানে। এরকম বিপদে কিভাবে কী করবেন, এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।