তরুণদের জন্য শীর্ষ সফল ব্যক্তিদের সর্বোত্তম উপদেশমালা


এই শতকের নবীনদের জন্য পৃথিবীর কয়েকজন সফল ব্যক্তি এমন  কিছু উপদেশ দিয়েছেন, যেটা একই সাথে মূল্যবান এবং যুগোপযোগী। এগুলো একইসাথে আপনাকে আরো ভালো এবং সফল মানুষ হতে সাহায্য করবে।

স্টিভ জবস (Steve Jobs) :  আপনি শুধু আপনার প্যাশনেকে অনুসরন করবেন না, যদি না সেটা আপনার থেকে মহৎ ও বড় হয় 

বিজনেস ইনসাইডার এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, So Good They  Can’t Ignor You বইয়ের লেখক 'কাল নিউপোর্ট' স্টিভ জবসের জীবনী লেখক ওয়াল্টার ইসাকসন এর কথা উল্লেখ করেন যেখানে  জবস মারা যাওয়ার কিছুদিন পূর্বে ওয়াল্টার জবস এর সাথে তাদের মধ্যকার কোন একটি কথা পুনরায় স্মরণ করেন। জবস প্রায়ই ইসাকসন কে বলতেন, “আমরা সবসময় বলি আমাদের প্যাশন কে অনুসরন করো কিন্তু আমরা তো ইতিহাসের প্রবাহমান ধারাবাহিকতার একটি অংশ। তুমি যা কিছু পেয়েছো তা দিয়ে তুমি এমন কিছু করো যাতে তুমি ইতিহাসের প্রবাহমান স্রোতে  কিছু রেখে যেতে পারো যা তোমার সম্প্রদায় ও অন্যদের উপকারে আসবে। যাতে  করে আজ থেকে ২০, ৩০ কিংবা ৪০ বছর  পরে মানুষ বলতে পারে- 'এই মানুষ টি শুধু তার প্যাশনের পিছনেই ছুটে নাই, সে অন্যদের নিয়েও ভাবতো এবং এমন কিছু কাজ করে গিয়েছে যা থেকে আজও মানুষ উপকার পাচ্ছে।'

কোন ব্যক্তিকে অমর্যাদা করে কিছু বলে ফেলা খুব সহজ, তাছাড়া তোমার সেই অধিকারটুকুও আছে। কিন্তু বলার আগে তুমি একবার ভাবো, তোমার মনোভাবকে গোপন রাখো এবং দেখো আগামী কালও কি তুমি সেই ব্যক্তি সম্পর্কে একই মনোভাব পোষন করো কিনা।  

মার্ক জাকারবার্গ :  শুধুমাত্র আপনার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়াটাই যথেষ্ঠ নয়

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন- আজকের তরুন প্রজন্ম নিজের জীবনের উদ্দেশ্য (purpose) খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু এটা খুঁজে পাওয়াই যথেষ্ঠ নয়। বরং এই একুশ শতকে এমন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা দাঁড় করানো জরুরী যেখানে সকলেই নিজের জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পায়।তিনি আরো বলেন- জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই বোধ যেটা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে, আপনি এমন কিছুর অংশ যেটা আপনার নিজের থেকেও বড় এবং যেখানে আপনার গুরুত্ব রয়েছে, যেখানে আপনাকে প্রয়োজন এবং যেখানে আপনার জন্য আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। জীবনের উদ্দেশ্য বুঝতে পারলেই আপনি সত্যিকার অর্থে সুখী হবেন।

বর্তমান প্রজন্মের এই বোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি উপদেশ দিয়েছেন-

১) মহৎ কিছু করুন, সেটা যতই কঠিন বা ভীতিকর  মনে হোক না কেন। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা যাই করি না কেন, সেটা ভবিষ্যতে কিছু না কিছু সমস্যা সৃষ্টি করবেই। কিন্তু তাই বলে দমে যাওয়া চলবে না।

২) নিজের সাধ্যমত অন্যদের সহায়তা করুন। সকলকেই নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বোঝার স্বাধীনতা ও সুযোগ দিন। এটা শুধু ভালো কাজ বলেই নয় বরং এতে আমাদের সকলের জন্যই ভালো কিছু বয়ে আনবে।

৩) সমাজবদ্ধ থাকুন, সমাজ তৈরি করুন। এমন সমাজের সাথে যুক্ত হবেন বা এমন সমাজ তৈরি করবেন যারা পৃথিবীর সমস্যাগুলো সমাধানে একযোগে কাজ করতে পারে। আমাদের সামনে অনেক বড় বড় সমস্যা রয়েছে যেগুলোতে আমাদের একযোগে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। কোন নির্দিষ্ট দেশের পক্ষে একা 'আবহাওয়ার পরিবর্তন', 'মহামারি' রোধ করা সম্ভব নয়। এগুলো আমাদের সকলকে মিলে করতে হবে। এজন্য আমাদের সমাজবদ্ধ হওয়া, একতাবদ্ধ হওয়া জরুরী।


বিল গেটস (Bill Gates) : কোন কিছুকে সহজভাবে নিতে শিখুন

সিএনবিসি তে ২০০৯ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিল গেটস 'বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের' চেয়ারম্যান ওয়ারেন বাফেটের কোন কিছু অথবা বিষয় কে সহজ ভাবে নেওয়ার দক্ষতার প্রশংসা করেন। ওয়ারেন বাফেটের এই সহজভাবে নিতে পারাটা তার প্রতিভার একটি বিশেষ দিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ওয়ারেন বাফেট (Warren Buffett) : নম্র হোন এবং সংবরন করতে শিখুন

ইয়াহুতে ২০১০ সালে এক ইন্টারভিউতে, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও সিইও ওয়ারেন বাফেট তার জীবনের পাওয়া শ্রেষ্ট উপদেশটি সম্পর্কে বলেছিলেন। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের বোর্ড অভ ডিরেক্টরস এর সদস্য থমাস মুরফি একবার বাফেট কে বলেছিলেন– “কখনোই ভুলে যেওনা না ওয়ারেন;  কোন ব্যক্তিকে অমর্যাদা করে কিছু বলে ফেলা খুব সহজ, তাছাড়া তোমার সেই অধিকারটুকুও আছে। কিন্তু বলার আগে তুমি একবার ভাবো, তোমার মনোভাবকে গোপন রাখো এবং দেখো আগামী কালও কি তুমি সেই ব্যক্তি সম্পর্কে একই মনোভাব পোষন করো কিনা।”

বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের  শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক আলোচনা সভায় একজন কৌতূহলী সেভেন্থ গ্রেডার এর প্রশ্নের উত্তরে বাফেট বলেছিলেন–  "বন্ধু বানানো এবং সহকর্মীদের সাথে ভাল সম্পর্কে তৈরির মূলকাঠি হচ্ছে, আপনি যাদের প্রশংসা করেন তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা এবং তাদের ধারনকৃত গুন গুলোকে নিজের মধ্যে চর্চার মাধ্যমে গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে পরিপক্কতার সাথে আপনার আচরন কে পরিবর্তন করতে শেখা"।

মানুষ তার অতীত  ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে  সেটা কে অন্য কোন কাজে না লাগিয়ে বরং তা নিয়ে মনকষ্টে ভুগে এত বেশি সময় নষ্ট করে যে, সেটা আমাকে হতবাক  করে দেয়। 


মায়া এঞ্জেলো (Maya Angelou) : নিজের পথ নিজে তৈরি করুন

কেটি কোরিক (Katie Couric)  তার The Best Advice I Ever Got বইতে একজন বিখ্যাত আমেরিকান লেখিকা, কবি, কারিকা, অভিনেত্রী ও গায়িকা মায়া এঞ্জেলোর “উদ্ধ্বতি” উল্লেখ  করে লিখেছেন– “আমার মাতামহী, মিসেস এনি হ্যান্ডারসন, আমাকে যে উপদেশটি দিয়েছিলেন তা আমি আমার জীবনের দীর্ঘ ৬৫ বছর ধরে মেনে চলছি। তিনি বলছিলেন, “মায়া, যদি জীবন তোমাকে এমন একটি  রাস্তার মুখোমুখি  করে যেই রাস্তা এবং সেই রাস্তা তোমাকে যেই গন্তব্যে নিয়ে যাবে কোনটাই তোমার পছন্দনীয় ও আকাঙ্ক্ষিত না হয় এবং পিছনের তাকিয়ে তোমার ফেলে আসা পথে ও যদি না ফিরতে চাও, তখন সেই রাস্তা ছেড়ে দাও এবং তুমি তোমার গন্তব্য ঠিক করে নিজের জন্য নতুন পথ তৈরি  করে নাও।”

রিচার্ড ব্রানসন (Richard Branson) : কখনো অতীতের ভুলের জন্য অনুশোচনায় ডুবে থেকো না, পরবর্তী নতুন কিছুর দিকে এগিয়ে যাও

রিচার্ড ব্রানসনের মা তাকে বলেছিলেন যে– “মানুষ তার অতীত  ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে  সেটা কে অন্য কোন কাজে না লাগিয়ে বরং তা নিয়ে মনকষ্টে ভুগে এত বেশি সময় নষ্ট করে যে, সেটা আমাকে হতবাক  করে দেয়।” ভার্জিন  গ্রুপ (ব্রিটিশ মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রিচার্ড ব্রানসন ‘দ্য গুড এন্ট্রোপনার” কে বলেছিলেন , “ ভার্জিন গ্রুপের সব ব্যবসাগুলো পরিচালনা করা আমার জন্য আনন্দায়ক, একটা বাধা বিপত্তি কখনোই খারাপ অভিজ্ঞতা নয় বরং তা একটি অভিজ্ঞতা অর্জন ও শিখার সুযোগ।”

জে কে রাওলিং( J.K. Rowling) : ব্যর্থতা কে আলিঙ্গন করুন

বিক্রির তালিকায় শীর্ষে থাকা হ্যারি পটার বই এর লেখিকা জে কে রাওলিং তার জীবনে অসংখ্যবার সাফল্য ও  ব্যর্থতার অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি এন বি সি টুডে’র ম্যাট লোয়ার কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে  বলেছেন, “আমার মনে হয়, আমরা ব্যর্থতা  নিয়ে যথেষ্ঠ কথা বলি না। এটা সত্যিই খুব কার্যকরী ও সহায়ক হতো যদি সফল কোন ব্যক্তি আমার কাছে এসে বলতো,’ তুমি ব্যর্থ হবেই। এটা অপরিহার্য। এটার সাথে তোমাকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে।” 
রাওলিং পৃথিবীর অন্যতম একজন ধনী ব্যক্তি হওয়ার পূর্বে  একজন সিংগেল মম ছিলেন যে কিনা ইউকে'র একটি শহরের সরকারী সাহায্যর উপরে নির্ভর করে জীবনযাপন করতেন। হ্যারি পটার নামে  বিখ্যাত চরিত্রে, একজন তরুন জাদুকরের গল্প তিনি এডিন বার্গের ক্যাফে তে লিখা শুরু করেন এবং সেই পাণ্ডুলিপি প্রকাশক দের কাছে পাঠানোর পর অসংখ্য বার সেটা প্রতাখ্যাত করা হয়। (তথ্যসূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান)
“বিশেষ ভাবে সংক্ষিপ্ত বৈবাহিক জীবন আমাকে অন্তর্মুখী  করে তোলে এবং সেই সময় আমি চাকরী বিহীন, নিঃসঙ্গ প্যারেন্ট ছিলাম এবং একই সাথে আধুনিক ব্রিটেইনে গৃহহীন না হয়ে যতটা বিত্তহীন থাকা সম্ভব ততটা দরিদ্র ছিলাম। সাধারন মাপকাঠিতে আমি জানি, আমি একজন সর্বোচ্চ ব্যর্থ মানুষ ছিলাম”- ২০০৮ সালে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী বক্তব্যে রাওলিং নিজের সম্পর্কে এগুলো বলেন।
তিনি এটাই বলে গিয়েছিলেন, জীবনের এই ব্যর্থতাগুলোকে তিনি এখন উপহার হিসেবে বিবেচনা করেন যা কিনা অনেক  কষ্টের মধ্যে দিয়ে অর্জন করেছেন যেহেতু বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়েই তিনি তার নিজেকে নিয়ে এবং সম্পর্কগুলো  নিয়ে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

একজন চাকুরী প্রার্থী কিভাবে আমার গাড়ির ড্রাইভার, সহকারী, অভ্যর্থক এর সাথে আচরণ করছে, আমি সেটা লক্ষ্য করি। আপনি যেভাবে তাদের সাথে আচরণ করছেন সেটাই আপনার পরিচয় বলে দিচ্ছে। 


এরিক স্মিথ (Eric Schmidt) : অধিকাংশ সময় হ্যাঁ বলুন

The Best Advice I Ever Got বইতে কেটি কোরিক গুগলের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এরিক স্মিথের উপদেশ হিসেব তার একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করেছেন- “কোন কিছুতে হ্যাঁ বলার পথ খুঁজে বের করুন। নতুন দেশে যাওয়ার আমন্ত্রন পেলে হ্যাঁ  বলুন, নতুন বন্ধুদের সাথে দেখা করার আমন্ত্রনে হ্যাঁ বলুন, নতুন কিছু শিখার ক্ষেত্রে হ্যাঁ বলুন।“হ্যা” মূলত সেটাই যা দিয়ে আপনি আপনার নতুন কাজ পেতে পারেন অথবা পরবর্তী কাজটি পেতে পারেন এবং আপনার স্ত্রী এমনি সন্তানাদিও পেতে পারেন।”


মারিসা মেয়ার( Marissa Mayer) : কোন একটি বিকল্প বাছাই  করে নিন এবং সেটাতেই অবদান রাখুন

সোশাল টাইমস এ ২০১১ সালে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে, ইয়াহুর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মারিসা মেয়ার তার জীবনের পাওয়া সবচেয়ে  মূল্যবান উপদেশ টি কথা বলেছিলেন।
“আমার বন্ধু এন্ড্রি আমাকে বলেছিল, ‘ তুমি জানো, মারিসা, অনেক যাচাই বাছাই  করে তুমি সঠিক সিদ্ধান্তটি নাও এবং আমি সত্যি বলছিঃ এই জিনিস টি আমি এখানে দেখি না। আমি দেখি, অসংখ্য  বিকল্পের মধ্যে তুমি একটি সিদ্ধান্ত  কে পছন্দ করে নাও এবং সেটাকেই সফল করো।‘ আমি মনে করি, আমার জীবনে পাওয়া  শ্রেষ্ট কিছু মূল্যবান উপদেশের মধ্যে এটা অন্যতম।“


সুজি ওরমান(Suze Orman) : সফলতার সঙ্গে  ক্ষতিকর সমালোচনারও মুখোমুখী হবেন। উপেক্ষা করতে শিখুন...

LinkedIn  এর একটি প্রতিবেদনে মোটিভেশনাল স্পিকার, লেখক এবং সিএনবিসির নিমন্ত্রন কর্তা সুজি ওরমান তার জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ট উপদেশটি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বলেন-  সফলতা তাকে প্রায়ই নোংরা তীরবিদ্ধ সমালোচনার মুখোমুখি দাড় করিয়েছে যা সম্পূর্নরুপে তার কাজের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল না। এই সব সমালোচনার তীর তাকে প্রথম দিকে খুব রাগিয়ে ফেলতো কিন্তু সবশেষে তিনি সেগুলা কে অগ্রাহ্য করতে শিখেন।
তিনি লিখেছিলেন।” দুঃখের বিষয় এই যে আমাদের সকলকেই বাহিরের সমালোচনা, প্রতিযোগী, ভয়ানক বস অথবা ক্ষতিকর সহকর্মীর মুখোমুখি হতে হয়।  এইসবের মধ্য দিয়েই আমাদের নিজেদেরকে কে সঠিক পথে চালনা করতে হবে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি আপনাকে পরামর্শ দেব- সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে হলে এসবের মুখোমুখি হবার জন্য প্রস্তুত থাকুন।“

রিক গুয়িংস (Rick Goings) : সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করুন

রিক গুয়িংস, সিইও অব টাপার ওয়ার ব্রান্ডস যেটা গত বছর ২.৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার আয় উপার্জন করে, বিজনেস ইনসাইডার এর সাথে তিনি তার জ্ঞানের একটি সুন্দরতম অভিমত শেয়ার করেন। সেগুলার মধ্যে একটি ছিল-  "সবার সাথে সুন্দর আচরণ করবেন"।
তিনি বলেছিলেন, “একজন চাকুরী প্রার্থী কিভাবে আমার গাড়ির ড্রাইভার, সহকারী, অভ্যর্থক এর সাথে আচরণ করছে, আমি সেটা লক্ষ্য করি। আপনি যেভাবে তাদের সাথে আচরণ করছেন সেটাই আপনার পরিচয় বলে দিচ্ছে।”


প্রাসঙ্গিক লেখা