লুভ্যর মিউজিয়ামঃ সৌন্দর্য প্রেমিকদের তীর্থস্থান


আপনাদের আজ এমন এক সৌন্দর্যের সাথে পরিচয়  করে দেব, যা সৌন্দর্যের নগরীর প্যারিসের অন্যতম আকর্ষন, অফিসিয়ালি গ্রেট লুভ্যর (Great Lovure)  নামে পরিচিত, পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম এবং একই সাথে  ঐতিহাসিক ও ঐশ্বর্যমন্ডিত এক  মিউজিয়াম। প্যারিসের কেন্দ্রে স্থাপিত এই লুভ্যর মিউজিয়াম (Louvre Museum ) লুভ্যর প্লেসে (Louvre Place) অবস্থিত। প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু  করে ১৯ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময় পর্যন্তর বিশাল সংগ্রহশালায় পরিপূর্ণ এই আঁধার।   সৌন্দর্য পিপাসুদের মিলনমেলায় পরিনত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী সংখ্যক দর্শনার্থীদের এক তীর্থস্থান যেন এই লুভ্যর যা ফ্রান্সে Musée du Louvre নামে পরিচিত।

লুভ্যরের ইতিবৃত্ত

প্যারিসের সিন নদীর ডান তীরে অবস্থিত  তুইলেরিস গার্ডেন এবং সেইন্ট জার্মেইন গীর্জার মধ্যবর্তী  জায়গায় ১২০২ সালে  ফ্রান্সের রাজা ফিলিপ অগাস্টাসের অধীনে লুভ্যর ক্যাসল নামে এক রাজকীয় দূর্গের নির্মান শুরু হয়। যা পরবর্তীতে চৌদ্দ শতাব্দীতে রাজা পঞ্চম চার্লসের সময়কাল থেকে রাজকীয় বাসভবন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। ১৬৮২ সালে চর্তুদশ লুইস  লুভ্যর থেকে তার বাসস্থান প্লেস অব ভার্সেইলেস এ  নিয়ে যান এবং লুভ্যর  কে  রাজকীয় সংগ্রহ শালার প্রদর্শনাগার করে যান। যা ১৬৯২ সাল থেকে পরবর্তী ১০০ বছর  Académie Royale de Peinture et de Sculpture এবং  Académie des Inscriptions et Belles-Lettres এর অধীনে ছিল। 

মূলত পাবলিক মিউজিয়াম হিসেবে লুভ্যর কে ব্যবহার করার আইডিয়া আসে আঠারো শতাব্দীতে। অতপর ফ্রেঞ্চ বিপ্লবের ফরাসী বিপ্লবের সময়ে ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ  জাতির শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম গুলো প্রদশর্নের জন্য লুভ্যর কে  জনসাধারনের  মিউজিয়াম হিসেবে খুলে দেওয়ার  আদেশ জারি করে।  ১৭৯৩ সালের ১০ই আগস্ট ৫৩৭ টি চিত্রকর্ম নিয়ে লুভ্যর মিউজিয়াম যাত্রা শুরু  করে। কিন্তু বিল্ডিং এর কাঠামোগত সমস্যার কারনে ১৭৯৬ থেকে ১৮০১ সাল পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হয়। 

প্যারিসের লুভ্যর  বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিচিত, বিখ্যাত এবং একই সাথে ব্যস্ততম মিউজিয়াম। ১৯৮৯ সালে গ্লাস পিরামিডের প্রবেশপথ খুলে দেওয়ার পর থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে যা ইতিমধ্যে ৭ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে।

পরবর্তীতে সম্রাট নেপোলিয়নের রাজত্বকালে মিউজিয়ামের সংগ্রহশালাকে সম্পদশালী ও ঐশ্বর্যশালী করা হয়। এমনকি মিউজিয়ামের নাম Musée du Louvre থেকে পরিবর্তন  করে Musée Napoléon রাখা হয়েছিল । কিন্তু নেপোলিয়নের পদত্যাগের পর তার সৈন্যদলের দখলকৃত অনেক শিল্পকর্মই প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত চলে যায়। অতঃপর অস্টাদশ লুইস, দশম চার্লস এবং সেকেন্ড ফ্রেঞ্চ এম্পায়ার এর সময়কালে মিউজিয়ামের বিশ হাজার শিল্পকর্ম পুনঃগ্রহণ করা হয়। থার্ড রিপাবলিক (একটি সরকারি ব্যবস্থা কাঠামো যা ১৮৭০ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত ফ্র্যান্সে বিদ্যমান ছিল) এর সময় কাল থেকে ধীরে ধীরে অনুদান ও বিভিন্ন মাধ্যমে মিউজিয়াম সমৃদ্ধশালী হতে থাকে।

আপনি কেন লুভ্যর এ যাবেন?

শুধু সৌন্দর্যের দিক দিয়ে নয়, ঐতিহাসিক গুরুত্বও লুভ্যর কে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দর্শনীয় স্থানগুলোর একটিতে পরিণত করেছে। শিল্প সৌন্দর্যের পাশাপাশি স্থাপত্য সৌন্দর্যও একে প্রথম শ্রেণীর পর্যটনস্থল হিসেবে সমগ্র বিশ্বের ভ্রমনপিপাসুদের কাছে পরিচিত করেছে। পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধশিল্পভান্ডার  বলা হয় লুভ্যরের ইউরোপিয়ান এবং ফরাসী চিত্রকর্মগুলোকে। 

ষাট হাজার স্কয়ার মিটারের বেশি জায়গা নিয়ে তিন লাখ আশি হাজারের উপরের প্রদর্শনীয় বস্তু সামগ্রী ও পূর্ববর্তী সময়কাল থেকে সমসাময়িক পর্যন্ত ৩৫ হাজারের মত মাস্টারপিসের বিশাল এক ভান্ডার এই মিউজিয়াম যেখানে এই সংগ্রহগুলোকে আটটি কিউরেটোরিয়াল বিভাগে ভাগ  করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্নুক্ত করে দেওয়া আছে।

ডেকোরেটিভ আর্ট বিভাগে আপনি ফরাসী রাজাদের জুয়েলারি, ফার্নিচার, পটারি সহ  বিভিন্ন সামগ্রীর দেখা পাবেন। গ্রিক, ইট্রাস্কেন ও রোমান এনটিকুইটিস বিভাগে ভাস্কর্য, মোজাইক, ব্রোঞ্জ সহ নানা শিল্পকর্ম আপনাকে  এক ঐশ্বর্য ভান্ডারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিবে । পশ্চিম এশিয়ার টাইগ্রিস (দজলা) ও ইউফ্রেতিস (ফোরাত) নদীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মেসোপটেমিয়ান সভ্যতার চিহ্নের সাথে আপনার পরিচয় ঘটবে  নিয়ার ইস্টার্ন এনটিকুইটিস বিভাগে। এছাড়াও ঈজিপশিয়ান এনটিকুইটিস, ইসলামিক আর্ট, স্কালপচার বিভাগগু্লো যেন  ভিন্ন ভিন্ন  শিল্পকলার  চমৎকার ভান্ডার যা নিঃসন্দেহে ভ্রমন পিপাসুদের ভ্রমন তৃষ্ণা মিটাবে।

শুধু এই নয়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কিছু মাস্টারপিসের সংগ্রহশালা এই লুভ্যর। মোনালিসা (Mona Lisa), নাইক অব সামোথ্রেস (Winged Victory of Samothrace, also called the Nike of Samothrace), কোড অব হামুরাবি (Code of Hammurabi), ভেনাস দ্য মিলো (Venus de Milo), সেইন্ট জন দ্য ব্যাপটিস্ট (St. John the Baptis) এর মত জগদ্বিখ্যাত শিল্পকর্মের আধার এই লুভ্যর। আপনাদের তেমনই কয়েকটি মাস্টারপিসের সঙ্গে আজ পরিচয় করিয়ে দিব যেগুলার দর্শন ব্যতিত আপনার ভ্রমনে অপূর্ণতা রয়ে যাবে। 


লুভ্যর পিরামিড (Louvre Pyramid)
লুভ্যর পিরামিড গ্লাস এবং ধাতুতে তৈরি সবচেয়ে বড় পিরামিড যেটার ১৯৮৯ সালে সম্পূর্ন হয়। লুভ্যর প্লেস এর মেইন প্রাঙ্গণে এটার অবস্থান যেটাকে আরো ছোট ছোট তিনটি পিরামিড ঘিরে আছে । এটা এখন লুভ্যরের প্রধান প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।  এর উচ্চতা ২১ মিটার।

দ্য সিটেড স্কাইব (The Seated Scribe)
লুভ্যরের ঈজিপশিয়ান এনটিকুইটিস বিভাগে  পঞ্চাশ হাজারের উপরে প্রদর্শন সামগ্রী আছে যার মধ্যে “দ্য সিটেড স্কাইব’ (The Seated Scribe)  অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। খ্রিস্টপূর্ব ২৬২০-২৫০০ সালের মধ্যেবর্তী সময়ের  সাকারা থেকে পাওয়া প্রাচীন মিশরীয় আর্টের এই চমৎকার কারিগরী ও শৈল্পিক নৈপুন্য  আপনাকে মুগ্ধ করবে।

মোনালিসা (Mona Lisa)
পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্ম লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসা (১৫০৩-১৫০৬)। রহস্যময় হাসির এই মাস্টারপিস ১৭৯৭ সাল থেকে লুভ্যরে তার জায়গা করে নিয়েছে। ফ্রান্সের রাজা Francois I লিওনার্ডোকে ফ্র্যান্সে আসতে প্ররোচিত করেছিলেন এবং তখন ভিঞ্চি তার সাথে মোনালিসা নিয়ে এসেছিলেন।  ভ্রমন তীর্থ যাত্রীদের একটি বড় সংখ্যক হাজার  মাইল পাড়ি দিয়ে এই শিল্পকর্মের দর্শনে প্যারিসে ছুটে আসে।

নাইক অব সামোথ্রেস (Nike of Samothrace)
গ্রিক বিজয়ের দেবী ‘নাইক’ এর প্রতিমূর্তি স্বরুপ পারিয়ান মার্বেলে  তৈরি ভাস্কর্য এই উইংড ভিক্টোরি অব সামোথ্রেস যেটাকে নাইক অব সামোথ্রেস নামেও ডাকা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে সৃষ্ট এই ভাস্কর্য কে হেলেনিস্টিক আর্টের অন্যতম মাস্টারপিস ভাবা হয়। জগত প্রসিদ্ধ কিছু ভাস্কর্যের মধ্যে এটি একটি যা ১৮৮৪ সাল থেকে লুভ্যরে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

শাহনামা (Shahnameh)
২০১২ সালে লুভ্যর সপ্তম থেকে উনিশ শতাব্দীর প্রায় তিনহাজার মূল্যবান হস্তশিল্প নিয়ে ইসলামিক আর্ট বিভাগ খুলে যেগুলার মধ্যে মুসলিম বিশ্বের লাভ লেটারও ছিল। এমনকি সংগ্রহশালার মধ্যে পার্সিয়ান কবি ফেরদৌসির মহাকাব্য শাহানামার তিন পৃষ্ঠা আছে।

কিভাবে যাবেন লুভ্যর মিউজিয়ামে?

প্যারিসের লুভ্যর  বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিচিত, বিখ্যাত এবং একই সাথে ব্যস্ততম মিউজিয়াম। ১৯৮৯ সালে গ্লাস পিরামিডের প্রবেশপথ খুলে দেওয়ার পর থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে যা ইতিমধ্যে ৭ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা মোটেই আশ্চর্যের ব্যপার নয় যে— মোনালিসা, ভেনাস দ্য মিলো, মাইকেলএঞ্জেলোর স্লেভস এবং ভার্মিয়ার লেইসমেকার সহ প্রাচীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মগুলোর রত্নভান্ডার এই জাদুঘর সৌন্দর্য পিপাসুদের প্রান কেন্দ্রে পরিণত হবে। 

শুরুতেই, দুটি সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। প্রথমত, কিভাবে আপনি তিনশত কক্ষে প্রদর্শিত ৩৫ হাজার শিল্পকর্ম পরিদর্শন করবেন? দ্বিতীয়ত, যেখানে ভ্রমনটি আপনার কাছে অসাধারণ মূল্যবান হতে পারতো, অনেক পর্যটকদের ভীড়ে, ধাক্কাধাক্কিতে সেটার আনন্দ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনি কিভাবে এগুলো থেকে যথাসম্ভব নিজেকে মুক্ত রেখে উপভোগ  করবেন?

কিন্তু আপনি যদি লুভ্যরের এই মনোমুগ্ধকর বৈচিত্রময় সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, কিছু পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে আপনাকে আগাতে হবে। আমরা এখানে লুভ্যর দর্শন কিভাবে আপনার কাছে সর্বোচ্চ আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে, তার সম্পর্কে  সংক্ষিপ্ত ও মৌলিক কিছু ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো। শুরুতেই, দুটি সমস্যার মুখোমুখি আপনি হতে পারেন। প্রথমত, কিভাবে আপনি তিনশত কক্ষে প্রদর্শিত ৩৫ হাজার শিল্পকর্ম পরিদর্শন করবেন? সেখানে বিস্ময়কর সুন্দর  কিছু শিল্পকর্ম আছে কিন্তু কোথাও না থেমে সবগুলো গ্যালারির মধ্যে দিয়ে শুধু হেঁটে যাওয়াটাই আপনার দিনের গুরুত্বপূর্ন অংশটুকু নিয়ে নিবে। দ্বিতীয়ত, যেখানে ভ্রমনটি আপনার কাছে অসাধারণ মূল্যবান হতে পারতো, অনেক পর্যটকদের ভীড়ে, ধাক্কাধাক্কিতে সেটার আনন্দ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনি কিভাবে এগুলো থেকে যথাসম্ভব নিজেকে মুক্ত রেখে উপভোগ  করবেন? এই ব্যপারগুলো আপনাকে আগেই  ভেবে নিতে হবে এবং মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে, সে অনুযায়ী আপনার পরিকল্পনা সাজাতে হবে। নয়তো, শেষ হয়েও হলো না শেষ ধরনের অতৃপ্তি নিয়ে ফিরতে হবে। তবে আমরা আপনাকে কিছু বিশেষ দিক নিয়ে বলতে পারি যা জানা থাকলে আপনার জন্য সুবিধা হবে। 

এর ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে একটু ধারনা রাখতে হবে।
লুভ্যর মিউজিয়াম মূলত দুইটি রাজকীয় 'লুভ্যর এবং টুইলেরিস'  ভবন নিয়ে সজ্জিত। এটার আধুনিক যে পরিবর্ধন ও সজ্জা আমরা দেখতে পাই তার অধিকাংশই হয়েছে তৃতীয় নেপোলিয়নের সময়ে এবং পরবর্তীতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মিটারেন্ড  গ্লাস পিরামিড  ও নতুন উইং সংযুক্ত  করে এটাকে প্রশস্ত ও সুন্দর করেন।
লুভ্যর প্লেস  Denon, Richelieu and Sully তিনটি উইং-এ  ভাগ করা। গ্লাস পিরামিডের নিচে এন্ট্রান্স হলে (The Hall Napoleon) আপনাকে সবগুলো উইং এর গ্রাউন্ড ফ্লোর পর্যন্ত নিয়ে যাবে। সবগুলো উইং আবার পরস্পর সংযুক্ত। তাই আপনি প্রথমে গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে যেকোন উইং ঘুরে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরে না এসেও অন্য উইং গুলোতে যেতে পারবেন। সবচেয়ে ভাল হবে আপনি যদি ঢোকার সময় এন্ট্রান্স থেকে মিউজিয়াম প্লানের রেফারেন্স হিসেবে ইংরেজি ভার্সন খুঁজে নেন, যেটা বিনামূল্যে পাবেন।

কোন সময়ে ও কখন যাবেন?
জুন থেকে সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ব্যস্ততম  সময় ওখানে কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি আপনি পুর্বাপেক্ষা অনেক কম ভীড় পাবেন। পাশাপাশি, বছরের যেকোন সময়, দুপুর ৩টার পর সময়টা উপযুক্ত। মঙ্গলবার এবং পাবলিক ছুটির দিনগুলো বাদ দিয়ে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মিউজিয়াম খোলা পাবেন। শুধুমাত্র সোমবার ও বুধবার ৯:৪৫ পর্যন্ত খোলা থাকে।

মাঝে একটু বিরতি দিন
ঢোকার সময় পিরামিড এন্ট্রান্স এর সামনে বড় লাইন পাবেন। আবার ইনডোর টিকেট অফিসের সামনে আরেকবার ভীড় পাবেন যদিও এখন সেখানে অটোমেটিক মেশিন ব্যবহার করা হয়। অতঃপর ঘোরার ক্লান্তি  দূর করার জন্য আপনাদের জন্য ক্যাফের ব্যবস্থাও আছে। মিউজিয়াম গ্যালারির ফার্স্ট ফ্লোরে  Denon উইং এ   Cafe Molien এবং Richelieu উইং এ Angelina’s tea shop এর শাখা  এবং এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে   Cafe Marly ছাড়া ও আরো কিছু খাবার দোকান পাবেন।


পৃথিবীর এই অন্যতম রত্নভান্ডার আপনার পদচারনায় মুখর হয়ে উঠুক ,আপনি ও শ্রেষ্ঠ কিছু সৌন্দর্য উপভোগ করার  সুযোগ অর্জন করে সভ্যতার প্রাচীন সাক্ষীর অংশীদার হয়ে ওঠার গৌরব অর্জন করুন এই শুভকামনা রইলো


প্রাসঙ্গিক লেখা