বল টেম্পারিংয়ের একাল সেকাল

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিংয়ে জড়িয়ে এবং তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যার জেরে টেস্টের মাঝ পথেই অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন স্টিভ স্মিথ। সহঅধিনায়কের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারকেও। বল টেম্পারিং ক্রিকেটে অনেকটা 'ওপেন সিক্রেট' ব্যাপার। যুগে যুগে এই অবৈধ কাজ করেছেন ক্রিকেটাররা। করেও যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে যে করবেন, সে নিশ্চয়তাও দেয়া যায়! কিন্তু ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দিয়ে স্টিভ স্মিথ- ডেভিড ওয়ার্নার যেভাবে টেম্পারিং চেষ্টা করলেন এবং টিভি ক্যামেরায় ধরা খেয়ে যাওয়ার পর স্বীকার করে নিলেন, এমন নজির খুব কম। স্বীকারোক্তি দেয়া ছাড়া অবশ্য কোনো কিছু করারও ছিলো না স্মিথদের সামনে। কারণ টিভি ক্যামেরার দৃশ্যগুলো অস্বীকার করাটা স্রেফ মুর্খতাই হতো! বল টেম্পারিং আসলে কী? সোজা কথায় ক্রিকেট বলের স্বাভাবিক রূপকে জোর করে বদলে ফেলাই হলো বল টেম্পারিং। সাধারণত একটি ক্রিকেট বল নতুন অবস্থায় উজ্জ্বল থাকে। এই উজ্বল বলকে দ্রুত খসখসে করে তুলতে পা...



ডেভিড ইয়ং : মাশরাফির টিকে থাকার রহস্য

চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে, বন্ধুদের সঙ্গে হৈ হল্লোর করে বেলা কাটতো কিশোর কৌশিকের। দস্যিপনায় তার জুড়ি মেলা ছিলো ভার। সেখান থেকে প্রায় ধুমকেতুর মতো কৌশিক চলে এলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উত্তপ্ত ময়দানে। চোখে-মুখে কৈশোরের ছাপ নিয়ে অভিষেক হলো টেস্টে। নড়াইলের কৌশিক হয়ে গেলো বাংলাদেশের মাশরাফি। দিনে দিনে মাশরাফি হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের আবেগের নাম। তার হাত ধরে রচিত হলো কতো ইতিহাস। ধরা দিলো কতো গৌরবের মুহূর্ত। মাশরাফি হয়ে উঠলেন এক বিজয়ী চেতনার নাম। অথচ এই মাশরাফি শেষ হয়ে যেতে পারতেন অঙ্কুরেই। ধুমকেতুর মতোই আবির্ভাবের পর হারিয়ে যেতে পারতেন মহাকালের অতল গহ্বরে। তার ক্রিকেট প্রতিভা বা নেতৃত্ব গুণের সর্বোচ্চ প্রকাশ দূরে থাক, সামান্য প্রকাশও হয়তো দেখা হতো না বিশ্ববাসীর। মাশরাফি যখন আবির্ভুত হন, বাংলাদেশ তখনও সত্যিকারের কোনো পেসারের সন্ধান পায়নি। ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারতেন বলে, শুরুতেই মাশরাফি হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের স্বপ্নের সারথী। সে সময়ের কোচ-নির্বাচকরা এতেই করে ফেলেছিলেন বড় এক ভুল। যথেচ্ছ ব...



সাকিব আল হাসান: কাঁধে যার ১৬ কোটি মানুষের ভার

এক দশকেরও বেশি সময় আগের কথা। বাংলাদেশ দল সফর করছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলে দেখা গেলো দুই নতুন মুখ। একজন মুশফিকুর রহিম। এক বছর আগেই যার টেস্ট অভিষেক হয়েছে লর্ডসে। আরেকজন সাকিব আল হাসান। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ব্যাটে-বলে চমকজাগানিয়া পারফর্ম করে দলে জায়গা পেয়েছিলেন যিনি। এই লেখাটা তাকে নিয়েই। এক দশকেরও বেশি সময় আগে লিকলিকে গড়নের যে ছেলেটা প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন, আজ তিনিই শক্ত কাঁধে বইছেন ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার ভার। যে ভার তাকে দমিয়ে দেয়নি এতোটুকু, বরং দিনে দিনে তিনি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে হয়ে উঠেছেন বিশ্ব ক্রিকেটেরই এক অমূল্য সম্পদ। প্রত্যাশার ভার বহন করা যার কাছে ব্যাট হাতে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে একটার পর একটা বল মাঠের বাইরে আঁছড়ে ফেলার মতোই সহজ। কিংবা যার কাছে প্রত্যাশা পূরণ করাটা দুর্দান্ত একেকটা আর্ম বলে ব্যাটসম্যানের স্টাম্প উপড়ে ফেলার মতোই স্বাভাবিক।  ক্রিকেটের সব কঠিন কাজ সহজ ও স্বাভাবিকভাবে করতে পারা সাকিব এখন বাংলাদেশের টেস্ট অধি...